শিবচরের পিঠা উৎসবে বাহারি পিঠার পসরা, দর্শনার্থীদের ঢল 

প্রকাশ : 2022-12-26 15:01:46১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

শিবচরের পিঠা উৎসবে বাহারি পিঠার পসরা, দর্শনার্থীদের ঢল 

মাদারীপুরের শিবচর পৌরসভার লিটন চৌধুরী স্কয়ারে প্রথমবারের মতো আয়োজিত পিঠা উৎসব যেন বর্নিল রংয়ে মেতে উঠে রবিবার। গভীর রাত পর্যন্ত ছিল প্রচন্ড ভীড়। পিঠা উৎসবে বিভিন্ন স্টলে ছিল গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী পিঠার বিশাল সমারোহ। নৌকা, কাঁটা পিঠা, পাটি সাপটা, ঝুরি পিঠা, ঠোস পিটা, দুধপুলি, ভাঁপাপিঠা, সইপিঠাসহ হরেক রকমের পিঠা খেতে নারী, পুরুষ ও শিশুদের ভীড় ছিল প্রতিটি স্টলে। উৎসবকে ঘিরে এছাড়াও ঢেকি,চালনাসহ হরেকরকমের আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতোন।

রবিবার বিকেলে জেলার শিবচর পৌরসভার লিটন চোধুরী স্কয়ারে ১দিনের গ্রামীন ঐতিহ্য পিঠা উৎসবের আয়োজন করে উপজেলা ডায়াবেটিক সমিতি। উৎসবে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ২১ টি পিঠার স্টল অংশ নেয়। স্টলগুলোতে , পাটি সাপটা, ঝুরি পিঠা, ঠোস পিটা, দুধপুলি, ভাঁপাপিঠা, সইপিঠাসহ দেশীয় নানা ধরনের পিঠার বাহারি সমাহার দেখা গেছে। উপজেলায় প্রথম বারের মতো এ ধরনের আয়োজন দেখতে অসংখ্য দর্শনার্থী পিঠা উৎসবে হাজির হয়। বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে পিঠা খেতে দেখা গেছে অসংখ্য দর্শনার্থীদের। চলে রাত পর্যন্ত পিঠা বিক্রির ধুম।

পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শবনম জাহান শীলা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ য্বুলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নি·ন এমপি, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি ,চিফ হুইপের সহধর্মিনী জিনাত পারভীন  চৌধুরী , জেলা প্রশাসক ড.রহিমা খাতুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনীর চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ মোল্লা, ডায়াবেটিক সমিতির চেয়ারম্যান রাজিয়া চৌধুরী, পৌর মেয়র মোঃ আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম,উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ডাঃ মোঃ সেলিম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানে চীফ হুইপের  পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অল্প মূল্যে গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী পিঠা কিনতে পেরে খুশি স্থানীয়রা। এবছরের ন্যায় প্রতি বছর কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীন এই ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব আয়োজনের দাবী স্থানীয়দের।  

শিবচর ডায়াবেটিক সমিতির চেয়ারম্যান  রাজিয়া চৌধুরী বলেন, পিঠা উৎসবের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। এ ধরনের আয়োজনের সময় বাড়ানো ও প্রতি বছর আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেন।গ্রাম বাংলার পিঠার হরেক রকম রুপ ও স্বাদে অভিভূত আয়োজক ও অংশগ্রহনকারীরা। প্রতি বছরই এ ধরনের আয়োজনের দাবী তাদের।