শিবগঞ্জে নির্বাচনোত্তর সহিংসতা বিক্ষুব্ধ জনগণকে ছত্রভঙ্গ করতে ২০৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি
প্রকাশ : 2021-11-15 09:46:41১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় ঘটনায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪শ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা করেছে। পুলিশ গত শুক্রবার সোনাতলা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই ) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে শিবগহ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তিনি গত বৃহস্পতিবার ওই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভরিয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেন।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দেউলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় ভরিয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গণণা শেষে ঘোষণা করতে দেরি করা হচ্ছিল। এতে ভোট গণনা শেষের দিকে ওই কেন্দ্রের প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর আগে উপজেলার রহবল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেও পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সূত্রধরে ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অষিার, পুলিশ, আনসারসহ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটে। ভোট কেন্দ্রের পাশে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কও অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ জনগণ। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে তাদেরকে উদ্ধার করে। বিক্ষুব্ধ জনগণকে ছত্রভঙ্গ করতে শর্টগান দিয়ে ২০৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুুঁড়ে পুলিশ। ওইদিন সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত থেকে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে বিক্ষুব্ধ জনগণের। পরে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। ওই তান্ডবে ১০ লাখ টাকার সরকারি ক্ষতি হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মামলায় এজাহারভুক্তদের মধ্যে দেউলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত দু’ প্রার্থী চশমা প্রতিকের বিএনপি নেতা মোতাহার রহমান মোতাসিন বিল্লা, ঘোরা প্রতীকের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন টুটুলসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪শ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ গত শনিবার পর্যন্ত ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামী শামীম প্রাং (৩২), আশরাফ আলী আকন্দ (৫৫) এবং মামলায় তদন্তে প্রাপ্ত সিহাব (২৮), নবীর উদ্দিন (৫৫), বেলাল আকন্দ (৫৫) ও রফিকুল ইসলাম ঠান্ডু মাঝি (৫৬), কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। গ্রেফতারকৃতরা ওই এলাকার মধুপুর ও রহবল হাজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ৬ জনের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন ওই ঘটনায় মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।