শিবগঞ্জে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিয্যবাহী মধুগঞ্জেশ্বরী কালীপূজা   

প্রকাশ : 2022-10-24 11:52:15১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

শিবগঞ্জে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিয্যবাহী মধুগঞ্জেশ্বরী কালীপূজা    

বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সাদুল্লাপুর গ্রামে প্রায় তিন শত বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী তথা উত্তর বঙ্গের অন্যতম কালী পূজা শ্রী শ্রী মধুগঞ্জেশ্বরী কালী অনুষ্ঠিত। এটি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাদুল্যাপুর গ্রামে বাংলা সালের কার্তিক মাসের আমবস্যার প্রতি বছর এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ তাদের মানত দান ও পূণ্য লাভের আশায় এই তীর্থ স্থানে সমবেত হন এবং শুধু আমাদের দেশরই নয় প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকেও ভক্তবৃন্দ বা দর্শনার্থীরা পূজা দর্শনের জন্য আসেন। এই পূজায় পর প্রতি বার অনেক পাঠা বলি হয়। পূজার বিশেষ কয়েকটি নিয়ম বা ঐতিহ্য রয়েছে তা হলো পাঠা লুট - বলিকৃত পাঠা লুটের উদ্দেশ্যে লুটকারীদের মাঝে ছুঁড়ে ফেলা হয়, শক্তি খাটিয়ে নির্দিষ্ট সীমানা অতিক্রম করলেই সেই পাঠা তাঁর।

আরেকটি হলো থান লুট - পূজার স্থানে বা প্রতিমার সামনে পূজাকৃত বা উৎসর্গ করা বিভিন্ন ধরনের প্রসাদ সাজানো থাকে যা একটি নির্দিষ্ট সময় পর যার যে প্রসাদ পছন্দ তাই সেটা নিতে পারবে। সাদুল্যাপুর গ্রামের প্রবীণদের মধ্য অন্যতম বিদ্যুৎ চন্দ্র বসাক ও মধুগঞ্জেশ্বরী কালী মাতা মন্দিরের বর্তমান ম্যানেজিং সেবাইত নারায়ণ চন্দ্র সরকারের সাথে কথা বলে যানা যায় যে, তারা তাদের বাপ-দাদার আমল থেকে এই পূজা দেখে আসছেন এবং জেনেছেন আজ থেকে প্রায় তিন শত বছর আগে মধুসূদন ভাদুরী নামে এক ব্যাক্তি এই পূজা স্থাপনা করেন এবং তার নাম অনুসারেই মধুগঞ্জেশ্বরী কালী পূজা নামকরন হয়।

পরবর্তীতে মধুসূদন ভাদুরী তৎকালীন জমিদার রমন বিহারী সরকারকে পূজা-অর্চনা ও পরিচালনার দায়িত্ব অর্পন করেন এবং তাহার মৃত্যু হইলে রমন বিহারী সরকার সেবাইত হিসেবে নিজ তহবিল থেকে পূজা করেন, রমন বিহারী সরকার মারা গেলে পর্যায়ক্রমে তাহার জৈষ্ঠ পুত্র মৃত রমেস চন্দ্র সরকার, মৃত লব চন্দ্র সরকার, মৃত কুশ চন্দ্র সরকার, বর্তমানে মৃত রমন বিহারী সরকারের একমাত্র জৈষ্ঠ্য পৌত্র এই পূজার ম্যানেজিং সেবাইত হিসেবে নারায়ণ চন্দ্র সরকার প্রায় এক যুগ ধরে এই পূজা পরিচালনা করে আসছেন।