শিবগঞ্জের কামতারা যাত্রী ছাউনি প্রভাশালীদের দখলে

প্রকাশ : 2021-07-05 13:32:42১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

শিবগঞ্জের কামতারা যাত্রী ছাউনি প্রভাশালীদের দখলে

বগুড়ার শিবগঞ্জের কামতারা যাত্রী ছাউনি প্রভাবশালীদের দখলে বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার কামতারা যাত্রী ছাউনির তিন পাশে গড়ে উঠেছে দোকান। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় কামতারা এলাকায় যাত্রীসেবায় ছাউনি নির্মাণ হলেও কালের গহবারে হারিয়ে এখন তা দোকানীদের দখলে চলে গেছে। খুব কাছে থেকে না দেখলে দোকানের অবয়বের আড়ালে যাত্রী ছাউনি খুঁজেও পাওয়া যায় না। 

উপজেলার বুড়িগঞ্জ টু পিবর রোড ও শিবগঞ্জ টু পিবর রোডের ত্রিমুখী স্থান হলো কামতারা তিনমাথা। প্রায় ২০ বছর আগে এখানেই মানুষের যাতায়াতের সুবিধা ও বিশ্রামের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল কামতারা যাত্রী ছাউনি। অভিযোগ উঠেছে, প দাশ ভোলাপাড়ার এলাকার আব্দুল খালেক নামে এক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে যাত্রী ছাউনিটি দখলে রেখেছেন। সেখানে তিনি চায়ের দোকান, খাবারের হোটেল, পান-সিগারেটের দোকান বসিয়েছেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছরেও আগে যাত্রী ছাউনিটি ব্যবহার হত। এরপর থেকে দখল হওয়ার কারনে ওই এলাকার যাত্রীদের রোদ ও বৃষ্টিতে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থেকে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। রবিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, যাত্রী ছাউনিতে অস্থায়ী দোকান স্থাপন করার ফলে বর্তমানে যাত্রী ছাউনির কোনো অন্তিত্ব বোঝা যায় না। যাত্রী ছাউনির তিন পাশেই গড়ে উঠেছে দোকান। 

এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, যাত্রী ছাউনির আশপাশে সন্ধা হলে মাদকসেবী ও ছিতাইকারীদের আড্ডা চলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক যাত্রী বলেন, যাত্রী ছাউনি দখল হয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের আসা যাওয়ার সময় বিশ্রাম নিতে খুবই সমস্যা হয়। যাত্রী ছাউনি দ্রুত উদ্ধার করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। বুড়িগঞ্জ হাটের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমাদের এলাকার যাত্রীদের জন্য সড়কের পার্শ্বে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছিল, কিন্তু দিনে ও রাতে সেখানে মাদকসেবী ও ছিনতাইকারীরা চা-পানের নামে আড্ডা দেয়। 

এলাকার কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আব্দুল খালেক দীর্ঘদিন ধরে জায়গাটি দখল করে নিয়ে হোটেল ব্যবসা করে আসছেন। তাকে কিছু বললেই তিনি জানান এলাকার প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেই নাকি ব্যবসা করছেন। তার কাছে সাধারণ মানুষের কথা মূল্যহীন। জানতে চাইলে আব্দুল খালেক বলেন, জায়গাটি পড়ে থাকায় আমি খাবারের হোটেল ব্যবসা করছি। কর্তৃপ¶ বললে আমি ছেড়ে দিবো। 

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম সম্পা বলেন, যাত্রী ছাউনি যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য করা হয়েছে। এখানে যাত্রীরা বিশ্রাম নেবে। সমস্যার বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।