শিক্ষকতার পাশাপাশি ছাদ বাগান করে প্রশংসা কুড়িয়েছে রুবী
প্রকাশ : 2021-10-21 18:44:34১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রথবাড়ি এলাকার শিক্ষক খোরসেদা খানম রুবী নিজ বাসায় ছাদ বাগান করে এলাকায় প্রশংসায় কুড়িয়েছে। বর্তমানে তার এই ছাদ বাগানে ৫৫ জাতের গাছ রয়েছে। তাঁর এই ছাদ বাগান দেখে এলাকার অনেকে ছাদ বাগানে উৎসাহিত হয়ে উঠেছেন।
সরজমিনে জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার দমদমা গ্রামের এই পরিবার বর্তমানে রথবাড়ি এলাকায় বসবাস করেন। ২০১৯ সালে শিক্ষক খোরসেদা রথবাড়ী এলাকায় বাড়ি নির্মাণের পর পরই ছাদ বাগান শুরু করেন। স্থানীয় নার্সারী ও ফলের চাড়ার দোকান থেকে গাছ সংগ্রহ করে ছাদ বাগান শুরু করেন। স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। শিক্ষকতার পাশাপাশি সংসারের সব কাজ শেষ করার পরও তিনি সকাল-সন্ধ্যা ছাদ বাগানের পরিচর্চা করেন। অবসর সময়ে ছাদবাগানের বিভিন্ন নিয়ম কানুন শিক্ষা নেন ফেসবুকের বিভিন্ন ছাদ বাগান পেজে ও বই পুস্তক পড়ে। উপজেলা কৃষি অফিসও তার ছাদ বাগানের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
বর্তমানে তাঁর ছাদ বাগানে আম,পেয়ারা,লিচু,ডালিম,বড়ই,মরিচ,জামরুল, মাল্টা,আমড়া,চেরিফল,পেপে প্রভৃতি ফল গাছ আছে। ফুলের মধ্যে গোলাপ,বাগান বিলাস.হাসনাহেনা,শিউলী,নয়নতারা, মনিং গ্লোরি,সন্ধ্যামালতি,রংগন, কাঠ গোলাপ ,পুদিনা পাতা বিভিন্ন ধরনের পুর্তলিকা,নীল অপরাজিতা এবং সিম, লাউ, টমেটো সহ ৫৫ জাতের গাছ তার ছাদ বাগানে রয়েছে । উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ছাদ বাগান প্রিয় উৎসুক মানুষ এই ছাদ বাগান দেখতে আসেন।
শিক্ষক খোরসেদা খানম (রুবী) বলেন, ’ছোটকাল থেকেই গাছ লাগাতে পছন্দ করি। তারপর,অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল,একটা ছাদ বাগান করার। অনেক কষ্টে বাসা করার পর পরই ছাদ বাগানের কাজে লেগে পড়ি। সকাল-বিকেল গাছের চর্চা করি। নিজের গাছের ফল,ফুল দেখে দিনের সব ক্লান্তি ভুলে যাই। এখন নিজের বাগানের শাক-সবজি,ফল নিজের পরিবার নিয়ে খাই,আত্নীয় স্বজনকে দেই। আমার স্বামী প্রায় সময় আমাকে উৎসাহিত করে। আমার দুই মেয়ে সাহায্য করে।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধিকারী বলেন, ’উনারা স্বামী স্ত্রী দু জনেই সৃজনশীল মানুষ। অনেকের মুখে উনাদের ছাদবাগানের প্রশংসা শুনেছি। উনাদের ছাদবাগন দেখে অন্যেরা উৎসাহিত হবেন, এই আশা করছি। ছাদবাগানের সম্পাসারনে উপজেলা কৃষি অফিস সব সময় উৎসাহিত ও সহযোগিতা করে আসছে।