শাজাহানপুরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত মন্তেজার রহমানের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশ : 2022-04-20 17:39:52১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

শাজাহানপুরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত মন্তেজার রহমানের দাফন সম্পন্ন

বগুড়ার শাজাহানপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত যুবলীগ নেতা মন্তেজার রহমান ওরফে মোন্তার (৫৫) দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

বুধবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার শাহনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন করা হয়। এসময় নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসির পক্ষ থেকে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবী জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, শাজাহানপুর উপজেলার চোপীনগর ইউনিয়নের শাহ্নগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে শাহনগর গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মন্তেজার রহমান ওরফে মোন্তা ও একই গ্রামের মৃত দুদু মিয়ার ছেলে মানিকুর রহমান মানিক এই দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ চলছিল। একপর্যায়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন সম্পন্ন হলে ওই কমিটির নির্বাচনী প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি মর্মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন যুবলীগ নেতা মন্তেজার রহমান। অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তৌফিক আজিজ প্রাথমিক শুনানীর জন্য গত ৪ এপ্রিল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং অভিযোগকারীকে নিজ কার্যালয়ে ডাকেন। তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাত করে বেলা ১টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন মন্তেজার রহমান। এসময় উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনে দিনদুপুরে প্রকাশ্যে মানিকুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে মন্তেজার রহমানকে ছুরিকাঘাত করেন। খবর পেয়ে শাজাহানপুর থানার এস.আই মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছেন এবং রক্তমাখা ছুরিসহ ছুরিকাঘাতকারি মানিকুর রহমান ও তার ছেলে জীবন কে গ্রেপ্তার করেন। এ ঘটনায় মন্তেজার রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় মন্তেজার রহমানকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টার দিকে তিনি মারা যান। এদিকে মৃত্যুর খবর পাওয়ায় পর পরই ক্ষুব্ধ হয়ে ঊঠে এলাকাবাসী। তারা খুনি মানিকের বাড়িতে হামলার পরিকল্পনা করে। খবর পেয়ে ফোর্সসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছেন থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন।  এ সময় তিনি উত্তেজিত মানুষকে শান্ত থাকতে বলেন এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হবে বলে  আশ্বস্ত করেন।

নিহত মন্তেজার রহমানের শ্যালক তরিকুল ইসলাম খোকন জানান, হত্যাকারীদের ফাঁসি দিতে হবে এবং ইন্ধনদাতা ও সহযোগীদেরকে সনাক্ত করে তাদেরকেও উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। 

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ভিপি এম সুলতান আহমেদ জানান, হত্যাকান্ডের মূল ইস্যু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি গঠন। প্রধান শিক্ষক অবৈধভাবে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠন না করলে এই হত্যাকান্ড ঘটতো না। প্রধান শিক্ষককেও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।