শহীদ শেখ রাসেলের কবরের পাশে আবেগাপ্লুত শেখ হাসিনা-রেহানা
প্রকাশ : 2022-10-18 10:19:21১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বেঁচে থাকলে হয়তো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ঘটা করে জন্মদিন পালন হত। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান শিশু রাসেলও। তাই প্রতিবছরের মতো এবছরও তার জন্মদিনে ভাইয়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ভালোবাসা জানাতে ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
মঙ্গলবার (১৮অক্টোবর) ভোরের আলো ফোঁটার পরপরই দুই বোন ছুটে যান ছোট ভাইয়ের বনানীর কবরে শ্রদ্ধা জানাতে। প্রয়াত ছোট ভাইয়ের কবরে প্রধানমন্ত্রী ও তার বোন শেখ রেহানা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে গোলাপের পাপড়ি ছিটান। এসময় আবেগাপ্লুত দুই বোন কিছুক্ষণ নীরবে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে রাসেলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন সরকারপ্রধান ও তার বোন শেখ রেহানা।শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, শিক্ষার বিভিন্ন অধিদফতর, সংস্থা ও দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গাছরে চারা রোপণ ও দেয়ালিকা প্রকাশ করবে। পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নির্ধারিত কর্মসূচি পালন করছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত বছর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। শেখ রাসেল জাতীয় দিবসের এবারের মূল প্রতিপাদ্য- ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক।’