শহীদ ডা. মিলন দিবস
প্রকাশ : 2021-11-27 07:52:37১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
আজ শনিবার, ২৭ নভেম্বর। শহীদ ডা. মিলন দিবস। তিনি ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে ঘাতকের গুলিতে নিহত হন। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শামসুল আলম খান মিলন নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সংগঠক ছিলেন। আজ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ডা. মিলনের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন ডা. মিলন। তিনি জাসদ ছাত্রলীগ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ শাখার সভাপতি ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি চিকিত্সকদের সংগঠন বিএমএর সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর রিকশায় করে শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে পৌঁছলে তাঁকে গুলি করা হয়।
আজ সকালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ ডা. মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ ডা. মিলনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে স্বৈরশাসনের উত্থান ঘটে। শহীদ ডা. মিলনের মতো আরও অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ এসব বীর শহিদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ডা. মিলনের আত্মত্যাগ নতুন গতি সঞ্চারিত করে। সেদিনই দেশে জরুরি আইন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু জরুরি আইন, কারফিউ উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে বারবার রাজপথে নেমে আসে। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।’
ডা. শামসুল আলম খান মিলন পেশাগত সততা, দক্ষতা ও সাংগঠনিক কর্মতৎপরতায় ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি তৎকালীন বিএমএ’র নির্বাচিত যুগ্ম-সম্পাদক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও কলেজের বায়োকেমিস্ট বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। তিনি পেশাজীবী ও রাজনীতিক নেতাদের কাছে ছিলেন প্রিয়জন ও প্রিয়মুখ।