শনাক্তের হার ২.৭২ শতাংশ, ২৩ জনের মৃত্যু
প্রকাশ : 2021-10-05 18:32:56১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৬১৪ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৯৪ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৯ হাজার ৪৫২ জন। মৃত ২৩ জনের মধ্যে পুরুষ ১৫ জন ও আট জন নারী। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭০৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ২০ হাজার ২৯৬ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮২১টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৫ হাজার ৪২২টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ৪৯৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার ৯১৭টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৭২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে পাঁচজন, রাজশাহী বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে দুইজন, বরিশাল বিভাগে একজন, ময়মনসিংহ বিভাগে একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে দুইজন এবং বাড়িতে মারা গেছেন দুইজন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে চারজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২৪৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫১৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৮২ হাজার ১৭৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৪১ হাজার ৯৪৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪০ হাজার ২৩৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।