শনাক্তের হার কমেছে, প্রাণহানি ৩৫
প্রকাশ : 2021-09-18 18:30:53১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১৮২ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ১৯০ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ জন। মৃত ৩৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন ও ১৯ জন নারী।
শনিবার ( ১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬৪৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৪ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০৮টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৯ হাজার ৮৯৬টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯ হাজার ৬৬৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৪ লাখ ১৩ হাজার ৩৩টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩৭ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ছয়জন, রাজশাহী বিভাগে তিনজন, খুলনা বিভাগে তিনজন,বরিশাল বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে দুইজন, রংপুর বিভাগে একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে আটজন মারা যান।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে আটজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪৪৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬০৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৭৬ হাজার ৭৯৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৩১ হাজার ২২৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪৫ হাজার ৫৭৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।