লৌহজংয়ে দ্বিতীয় দফা হত্যা মামলা
প্রকাশ : 2024-09-28 13:34:00১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেড় ধরে হয়রানি করতে প্রথম হত্যা মামলা গোপন রেখে আদালতে দ্বিতীয় দফা হত্যা মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করে রেখেছেন মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের বৌলতলী ইউনিয়নের শুরপাড়া গ্রামের মুক্তার তালুকদার, মুরাদ তালুকদার ও তাসলিমা বেগমকে। অথচ প্রথম হত্যা মামলায় তাদের নামই ছিলনা। শনিবার বেলা ১১ টায় বিক্রমপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সন্মেলন করে এমনই তথ্য জানিয়েছেন মুরাদ তালুকদার।
সংবাদ সন্মেলনে তিনি বলেন, গত ১৩ জুন শুরপাড়া গ্রামে বউ শাশুরি ঝগড়ায় ও ধস্তাধস্তিতে ঘরের বেড়া ভেঙ্গে পুকুরে পড়ে শাশুরি হোসনে আরা মারা যায়। এ নিয়ে লৌহজং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের স্বামী বাবুল শেখ। কিন্তু সেই মামলায় শুধু মাত্র পুত্র বধু লিমা আক্তারকে আসামী করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মুরাদ তালুকদার দাবী করেন, আমরা নিহত হোসনে আরা বা তার পরিবারকে তেমন জানিনা। তারা আমাদের গ্রামবাসী। কিন্তু মান্নান তালুকদার আমাদের প্রতিবেশী এবং দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের প্রতিবেশী মান্নান তালুকদারের সাথে জাগয়া-জমি নিয়ে আমাদের বিরোধ চলছে। এ নিয়ে থানা সহ স্থানীয়ভাবে সালিসে বসলেও মান্নান তালুকদারের অহসযোগিতার কারণে তা মিমাংসা হতে পারেনি। তাই তিনি নিহত হোসনে আরার স্বামী বাবুল শেখকে অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করে আদালতে গিয়ে প্রথম মামলার কথা গোপন রেখে মান্নান তালুকদারকে স্বাক্ষী করে আমাদেরকে আসামী করে দ্বিতীয় দফায় আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আদালত আমাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেছে। আমরা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমরা দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। আমাদের জমি হাতিয়ে নিতে মান্নান তালুকদার আমাদের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা দিয়ে এখন হয়রানি করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এই হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীও জানাই। ঘটনার দিন আমরা এলাকাই ছিলামনা। তাই এ হত্যার সাথে আমাদের জড়িত থাকার প্রশ্নই উঠেনা।এ ব্যাপারে বাবুল শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।
উল্লেখ্য ১ নং আসামী লিমা আক্তার প্রথম হত্যা মামলায় জানিনে থাকলেও এখন দ্বিতীয় হত্যা মামলায় এখন আবারও আসামী।সংবাদ সন্মেলনে ১ নং আসামী প্রথম মামলায় জামিনে থাকা লিমা আক্তার, মুক্তার তালুকদার ও মুরাদ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।