লৌহজংয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি পাশের সমমানের মর্যাদা প্রদানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ : 2024-05-24 14:21:50১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
কারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও সমাজে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির প্রয়াসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি পাশের সমমানের মর্যাদা প্রদানসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখা সংবাদ সম্মেলন করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল চারটায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ঘোড়দৌড় বাজারে অবস্থিত দৌলত খান কমপ্লেক্সে লৌহজং প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম সিয়াম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইডিইবি মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম, সহসভাপতি পীযূষ কান্তি সরকার, জেলা অ্যাডমিন মো. খায়রুল ইসলাম, লৌহজং উপজেলা শাখার সহসভাপতি
মো. নুরুল হক, সহসভাপতি মো. সজীব রহমান ও কার্যকরী সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল মাধ্যমিক স্কুল ও দাখিল মাদ্রাসায় ২০২১ সালের মধ্যে কর্মমুখী শিক্ষা কোর্স প্রবর্তনের নির্দেশনা করেন। কিন্তু একটি প্রতিক্রিয়াশীল কারিগরি আমলাচক্রের নানামুখী ষড়যন্ত্রের কারণে আজও বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
এছাড়া ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েটদের রাষ্ট্রীয় কোন লেভেলে সমমান করা যায়, সে বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি ন্যায়ানুগ উদ্যোগকে মূর্খ ও উদ্ভট কর্মকান্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারগণ নানা চক্রান্ত চালাচ্ছে। বিগত ১০/১২ বছর পূর্বে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ২/৩ টি পেশাগত বিষয় তথা অন্যান্য কারিগরি পেশাজীবীদের ন্যায় প্রাথমিক নিযুক্তিতে একটি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট প্রদান, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পদোন্নতির কোটা ৫০% নির্ধারণ ও বিএনবিসি ২০২০ এর স্বার্থ বিরোধী অবমূল্যায়নকর ২/৩টি ধারা সংশোধনের ক্ষেত্রেও বিভিন্নভাবে বাধা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে জনগণকে জিম্মি করে কোটারি স্বার্থ হাসিল করতে চায়। দেশে ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণের মধ্যে একাডেমিক শিক্ষাগত পার্থক্য মাত্র দুই বছর এবং প্রাথমিক নিযুক্তিতে বেতন গ্রেড এর পার্থক্য এক ধাপ। তাই স্বাভাবিকভাবেই ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মজীবনে সামাজিক মর্যাদা বেতন গ্রেডের তারতম্য এবং পদোন্নতি প্রাপ্তির ধাপ পাশাপাশি চলমান থাকাই বাঞ্ছনীয় ও যুক্তিযুক্ত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য- কর্মজীবন এক ধাপ উপরে নিচে শুরু করলেও একজন ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার পর্যায়ক্রমে প্রধান প্রকৌশলী তথা ১ নং গ্রেডভুক্ত হয়ে গেলেও একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার প্রায় একই পদে ও একই বেতন গ্রেডে থেকে যায়। এই সীমাহীন বৈষম্য কি মেনে নেওয়া যায়? সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয় যে, একধাপ উপরে নিচে কর্মজীবন শুরু হওয়ার পর কর্মক্ষেত্রে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও একজন ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার পদোন্নতি পেয়ে প্রধান প্রকৌশলী হয়ে ১ নং গ্রেডভুক্ত কর্মচারী হতে পারেন, তাহলে একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার কেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পর্যন্ত পদোন্নতি পেয়ে ২ নং গ্রেডভুক্ত কর্মচারী হতে পারবে না? সম্মেলনে জনস্বার্থে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশাসনিক পদে নিয়োগ বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।