লৌহজংয়ে কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট, ৫০ হেক্টর কৃষি জমি অনাবাদের আশঙ্কা

প্রকাশ : 2021-07-03 21:44:54১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

লৌহজংয়ে কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট, ৫০ হেক্টর কৃষি জমি অনাবাদের আশঙ্কা

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে কালভার্টের নিচে মাটি ভরাট করে কৃষি জমির পানি প্রবাহ বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। এতে ৫০ হেক্টর কৃষি জমি অনাবাদের আশঙ্কা করছে কৃষিবীদ। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন স্থানীয় কৃষকরা।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের মশদগাও-কাহেতারা-নাগেরহাট রাস্তার মশদগাও ৯ নং ওয়ার্ড হাকিম মেম্বারের বাড়ির সামনে বক্স কালভার্টের নিচে বাবুল ঢালী ও হাবিব খাঁন মাটি ভরাট করার জন্য দুইদিকে মাটির বাঁধ দেয়। এবং কিছুদিনের মধ্যেই মাটি ফেলে ভরাট করে দিবে। ফলে মশদগাওয়ের পূর্ব ও পশ্চিমে অবস্থিত কৃষি জমির পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে। যার কারণে এ সকল কৃষি জমিগুলোতে চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়বে। অথচ এ জমির পানি প্রবাহের কারণে চলতি বছরে খাল খনন করেছে সরকার। লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়েছে কৃষিজমির চাষাবাদের সুবিধার্থে কালভার্টের নিচে মাটি ভরাট বন্ধের জোর দাবি করেন স্থানীয় কৃষকেরা।

জানা যায়, কালভার্টের নিচে মাটি ভরাটের জন্য দুইপাশের চারদিকে মাটি দিয়ে ভরাট করেছেন কনকসার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাবুল ঢালী ও কনকসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিব খাঁন। এতে মশদগাওয়ের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের কৃষি জমির পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। এতে এ অঞ্চলের কৃষি জমিতে ফলন ফলা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাবিব খাঁন জানান, আমার জমিতে পূর্ব দিয়ে একটি রাস্তা করেছে স্থানীয় মেম্বার আমাকে বলেনি। তাই বাকি জায়গায় আমি মাটি ফেলছি। এবং ভরাট করে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এখনও ভরাট করিনি পকেট করে রেখেছি ভরাট করার জন্য। তিনি আরও জানান আমার জমি আমি যা খুশি করবো এতে কার কি?

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মো. শরীফুল ইসলাম জানান, স্থানীয় কৃষকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সরজমিনে গিয়ে দেখি কালভার্টের দুইপাশে স্থানীয় কতিপয় লোকজন মাটি ফেলে রেখেছে। এতে কালভার্টের দুই পাশের কৃষি জমির পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে প্রায় ৫০ হেক্টর জমি অনাবাদে চলে যাবে। আমি ইউএনও মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করেছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবীর জানান, স্থানীয় কৃষকের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কৃষি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।