লকডাউনে যাত্রী শূন্য ছিল শিমুলিয়া ঘাট, সেনাবাহিনী-বিজিবি সদস্যরা তৎপর
প্রকাশ : 2021-07-02 09:05:44১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট ছিল যাত্রী শুন্য। সকাল থেকে ১৫ টি ফেরি চলাচল করলেও পন্যবাহী যানবাহন ছাড়া ফেরিতে যাত্রী পারাপারের দৃশ্য চোখে পড়েনি। শিমুলিয়া ঘাটের অভিমুখে ঢাকা-মাওয়া এ·প্রেসওয়ে সড়কে দু’টি চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। সেখানে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা তৎপর রয়েছে। অন্যদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলার ৬ টি উপজেলায় মোতায়েন করা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩ প্লাটুন সদস্য ও বিজিবির ২ প্লাটুন সদস্য টহল দিচ্ছে। জেলা শহরের উপকন্ঠ মুক্তারপুর এলাকার ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর ঢালে চেকপোষ্টে রাজধানী ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি জেলা শহর থেকেই কেউ বাইরে বের হতে পারছে না। এছাড়া রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে ১৭টি পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল জানান, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে জেলায় মোতায়েন করা ৩ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ২ প্লাটুন বিজিবি এবং র্যাব সদস্যরা কুইক রেসপন্স টিম হিসাবে কাজ করছে। প্রবেশ পথগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া আনসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইনক্লুড করার চিন্তাভাবনা রয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক। তিনি আরও জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গ্রাম পর্যায় লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদ ভিত্তিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। রোভারদের বাজার মনিটরিং কাজে লাগানো যায় কিনা তা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। ঢাকা-মাওয়া এ·প্রেসওয়ের সিরাজদিখানে নিমতলি এবং শিমুলিয়া ফেরিঘাটে এলাকায় ইতিমধ্যে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সুপারভাইজার শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, সকাল থেকে ১৫ টি ফেরি চলাচল করছে। এসব ফেরিতে শুধুমাত্র পণ্যবাহী ট্রাক, জরুরি ও অ্যাম্বুলেন্স পার করা হচ্ছে। সকাল থেকে যাত্রীদের উপস্থিতি না থাকায় ঘাট এলাকা ছিল একবারে ফাঁকা।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, সর্বাত্মক লকডাউনের নির্দেশনা মানার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে। মহাসড়কে থেকে শিমুলিয়ামুখি গাড়ি রোধ করা হচ্ছে। তাই ঘাটে যানবাহন এবং যাত্রী নেই বললেই চলে।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেবনাথ জানান, ভোর সকাল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের আওতায় সরকারি প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ কাজ করছে। একাধিক চেকপোস্টে ও প্রতিটি থানায় গাড়িতে মাইক লাগিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের কেউ সাথে নিয়ে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে বাজার এলাকায়।