রেলওয়ে বিনিয়োগে পুনরায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন
প্রকাশ : 2023-04-05 16:58:05১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
‘চীনের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর পাশাপাশি পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প হচ্ছে। বড় বড় স্থাপনা নির্মাণে চীনের ব্যাপক অভিজ্ঞতা আছে। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী’, এ কথা জানিয়েছেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন তিনি বলেন, ‘আমরা রেলেওয়ের উন্নয়নে আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’
বুধবার (৫ এপ্রিল) রেল ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। চীনা রাষ্ট্রদূত পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। এ সময় রেলমন্ত্রী বলেন, ‘চীন আমাদের অনেক বড় উন্নয়ন অংশীদার। চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়েতে এখন পদ্মা সেতু রেল সংযোগসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলমান আছে।’ মন্ত্রী উল্লেখ করেন, রেলওয়ে একসময় অবহেলিত ছিল। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে রেলওয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বঙ্গবন্ধু সেটি পুনঃস্থাপিত করেন। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা মন্ত্রণালয় করে দেন। তারপর থেকে রেলের উন্নয়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘একটি দেশের উন্নয়নের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগব্যবস্থা প্রয়োজন। বর্তমানে ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্যই রেলের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে।’ মন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা ব্রডগেজ এবং মিটারগেজে বিভক্ত। আমরা পুরোটাই ব্রডগেজে রূপান্তর করার চিন্তা করছি এবং সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া প্রতিটি জেলায় রেল সংযোগ স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সিঙ্গেল লাইনকে আমরা ডুয়েলগেজ করছি। চীন আমাদের অনেক প্রকল্পে সাহায্য করছে।’ ভবিষ্যতে এ সাহায্য অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
চীনের অর্থায়নে অপেক্ষমান নির্মাণাধীন আখাউড়া-সিলেট এবং জয়দেবপুর-জামালপুর ডাবল লাইন নির্মাণের লক্ষ্যে নেগোসিয়েশন দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে তাগাদা দেন রাষ্ট্রদূত। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পিড লাইন নির্মাণের বিষয়ে তাদের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে চলমান ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ রেল লাইনের নির্মাণ কাজ চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যেন সম্পন্ন করে, সেই লক্ষ্যে রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানানো হয়। কারণ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করতে আগ্রহী নয়।
আলোচনার সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।