রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ হাসি ফুটল রিয়ালের সমর্থকদের মুখেই

প্রকাশ : 2021-08-29 11:26:04১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ হাসি ফুটল রিয়ালের সমর্থকদের মুখেই

লা লিগায় রিয়াল বেটিসের মুখোমুখি হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। শনিবার রাতে ঘরের মাঠে রিয়ালকে পেয়ে দারুণ খেলেছে বেটিস। পুরোটা সময় আক্রমণ-পাল্টাআক্রমণে এক রুদ্ধশ্বাস লড়াই উপভোগ করেছেন ফুটবলপ্রেমীরা। তবে শেষ হাসি ফুটল রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকদের মুখেই। 

রিয়াল বেটিসকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারালেন কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। একমাত্র জয়সূচক গোলটি এসেছে দানি কারভাহালের পা ছুঁয়ে। 

প্রায় সমানে সমানে লড়াইয়ের ম্যাচে অবশ্য গোলপোস্ট বরাবর দুটি শট বেশি নিয়েছে রিয়াল। রিয়ালের ১৩ শটের বিপরীতে বেটিস নিয়েছে ১১টি। কিন্তু অন্যদিক থেকে এগিয়ে রয়েছে বেটিসই। রিয়ালের মাত্র তিনটি শট ছিল লক্ষ্য বরাবর, যা একটিতে গোল হয়েছে। আর বেটিসের ছয়টিই ছিল লক্ষ্যে।

ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে করিম বেনজেমার সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বেটিসের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ভিনিসিউস জুনিয়র। কিন্তু তার কাটব্যাককে গোলে রূপ দিতে পারেননি বেনজেমা।

দুই মিনিট পর এদের মিলিতাওয়ের শট গোললাইনে ঝাঁপিয়ে ফেরান বেটিস গোলরক্ষক। একাদশ মিনিটে নাবিল ফেকিরের দুর্দান্ত এক ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে ফেরান রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। এভাবেই আক্রমণ-পাল্টাআক্রমণ প্রতিহতের মাধ্যমে গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।

দ্বিতিয়ার্ধে নেমে ৫০তম মিনিটে গ্যারেথ বেলের দারুণ একটি ক্রসে ডি-বক্সে মাথা ছোঁয়ান বেনজেমা। ঝাঁপিয়ে বল ঠেকান গোলরক্ষক রুই সিলভা। পরের মিনিটে অবশ্য বল পাঠিয়েছিলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। কিন্তু অফসাইডের বাঁশিতে তা বাতিল হয়।

৬০তম মিনিটে সফল হয় রিয়াল। প্রতি-আক্রমণে উঠে বাইলাইন থেকে ভিনিসিউসের কাটব্যাক পেয়ে ডান দিকে দারুণ ক্রস বাড়ান বেনজেমা। আর দুর্দান্ত সাইড ভলিতে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন কারভাহাল।

সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি বেটিস। যদিও অতিরিক্ত ছয় মিনিট সময়ে সুযোগ করে দিয়েছিলেন বেটিসের মার্তিন মনতোয়া। এ ডিফেন্ডারের শট কোনোমতে ঠেকিয়ে নিশ্চিত ড্রয়ের হাত থেকে দলকে বাঁচান থিবো কোর্তোয়া।

রেফারির শেষ বাঁশিতে ১-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ।

এ ফলের পর তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৭। যথাক্রমে পরের তিনটি স্থানে থাকা সেভিয়া, ভ্যালেন্সিয়া ও মায়োর্কার পয়েন্টও সমান ৭।

দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে চ্যাম্পিয়ন আথলেটিকো মাদ্রিদ। সমান ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৪।