রিয়াজের শ্বশুরের আত্মহত্যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যত আলোচনা 

প্রকাশ : 2022-02-03 11:53:40১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

রিয়াজের শ্বশুরের আত্মহত্যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যত আলোচনা 

চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর গতকাল রাতে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের লাইসেন্স করা গুলি দিয়ে আত্মহত্যা করে মারা গেছেন। তার এই মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। কারো হৃদয়ে বিষয়টি গভীরভাবে প্রভাবে ফেলেছে। কেউ আবার জীবনকে নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে শুরু করেছে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি একটি ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ব্যবসায়ী আবু মহসিন তার মেয়ে ও নাতনি এবং মেয়ের জামাই রিয়াজের সঙ্গে খোশ মেজাজে রয়েছেন। তবে ছবিটি কত সালের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, জীবনে টাকাই সব না, ছেলে-মেয়েদের ভালোবাসাও প্রয়োজন আছে। তার (মহসিন) অর্থ-সম্পত্তির কমতি ছিল না। কিন্তু কমতি ছিল ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীর ভালোবাসার। 

রাশেদ খান নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, নিঃসঙ্গতা দূর করতে প্রবীণ আইনজীবী মোহাম্মদ ইসমাইল সাহেবের বৈধভাবে বিয়ে করাটি ভালো ছিলো, নাকি নিঃসঙ্গতার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আবু মহসীন এর আত্মহননের এই পথটি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিলো?

গতকাল ফেসবুক লাইভে এসে আবু মহসিনের আত্মহত্যার পর পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করতে গেলে একটি সুইসাইড নোট পায়। সেখানে তিনি লিখেছেন ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’

৫৮ বছর বয়সী আবু মহসিন খান পেশায় ব্যবসায়ী। থাকতেন ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর ভবনে নিজের ফ্ল্যাটে। বুধবার রাত ৯টার দিকে তিনি আত্মহত্যা করেন। এ খবর দ্রুতই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার পর পরই পুলিশের রমনা উপকমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, আবু মহসিন খান একাই ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন বলে তিনি সুইসাইড নোটে লিখে গেছেন। 

তিনি আরও বলেন, ‘মহসিন খানের সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, ব্যবসায় ধস নেমে যাওয়ায় আমি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। আমার সঙ্গে অনেকের লেনদেন ছিল। কিন্তু তারা টাকা দেয়নি। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’ মহসিন খান ২০১৭ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে পরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।

এদিকে শ্বশুরের মৃত্যুর খবর শুনে স্ত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নায়ক রিয়াজ। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, শ্বশুরের মৃত্যুর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। পুলিশ তদন্ত করে যা পাবে, তার সঙ্গেই তারা একমত পোষণ করবেন।

আবু মহসিনের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে তার মাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন।