রিকশা-ভ্যান বন্ধ নয়, ব্যাটারি খুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
প্রকাশ : 2021-06-23 20:25:51১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
সড়ক পরিবহন টাস্কফোর্সের সভায় ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধ নয়, ব্যাটারি বা মোটর খুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৩ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্কফোর্সের তৃতীয় সভায় সড়ক-মহাসড়কের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যেসব প্যাডেল চালিত রিকশা ও ভ্যানে ব্যাটারি বা মোটরযন্ত্র লাগানো হয়েছে সেসব রিকশা ও ভ্যান থেকে ব্যাটারি বা মোটরযন্ত্র খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এর আগে রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সড়ক পরিবহন টাস্কফোর্সের সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে রিকশা-ভ্যানের মধ্যে মোটর লাগিয়ে রাস্তায় চলছে। শুধু সামনের চাকায় ব্রেক, পিছনের চাকায় কোন ব্রেক নেই বা ব্যবস্থা থাকলেও তা অপ্রতুল। সেগুলো যখন ব্রেক করে যাত্রীসহ গাড়ি উল্টে যায়। এই ধরনের দৃশ্য আমরা দেখেছি। আমরা দেখেছি হাইওয়েগুলোতেও এই রিকশা চলে আসছে। এজন্য আমরা সারাদেশে প্যাডেল চালিত রিকশার বিষয়ে বলছি না। প্যাডেল চালিত রিকশাকে যারা ইঞ্জিন দিয়ে রূপান্তর করেছেন সেই সব রিকশা-ভ্যান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত আজকের সভায় হয়েছে।
ব্যাটারিচালিত রিকশার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলেন, কিন্তু অটোরিকশা যানজটের কারণ এবং দুর্ঘটনাও ঘটছে—এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নসিমন-করিমন-ভটভটি এবং ঢাকা শহরে বিভিন্ন রকমের অটোরিকশা চলছে। আমরা এখনো যানবাহনের সঠিক ব্যবস্থা করতে পারিনি। গ্রামাঞ্চলে সুন্দর রাস্তা হয়ে গেছে। সেখানে রিকশা, সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেল ছাড়া পর্যাপ্ত যানপবাহন নেই। সেজন্য নসিমন, করিমন-এগুলো যানবাহনের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের আলোচনা হবে, যাতে করে খুব শিগগিরই এটাকে পরিমিত এবং ফাইনালি বন্ধ করা যায়, আমরা সেটা নিয়েও কাজ করবো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইজিবাইক যথেষ্ট পরিমাণে এসে গেছে। ছোট-ছোট গলিতে এগুলো চলার কথা ছিল, কিন্তু এখন এগুলো সর্বত্র বিচরণ করছে। ঢাকা শহরে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার মোটরচালিত রিকশা ও ভ্যান ধ্বংস করে দিয়েছি। ইজিবাইকগুলো নিয়ন্ত্রণ করে দেওয়া হচ্ছে। তারা যেন তাদের নির্দিষ্ট স্থান থেকে বের হতে না পারে, হাইওয়ে বা বড় রাস্তায় না আসতে পারে, এটাও আমরা ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেব।