রাঢ়ীখালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিল্ডিং নির্মাণ!
প্রকাশ : 2022-03-29 19:20:22১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বসত বিল্ডিং নির্মান করাকালে ঝর্ণা বেগম(৪৫)নামে এক নারী বাধা দিলে তাকে বেধম পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। গতকাল ২৮মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর বালাশুর নতুন গ্রাম এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত ঝর্ণা বেগমকে উদ্ধার চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এব্যাপারে আহত নারীর ভাশুর বিল্লাল ডাফা বাদী হয়ে সাবেক মেম্বার আতিকুর রহমান বতু আকন(৫৫)সহ ৪জনকে বিবাদী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ও তার ছোট ভাই প্রবাসী জয়নাল ডাফার ক্রয়কৃত মালিকানাধীন মত্তগ্রাম মৌজার সম্পত্তি সাবেক মেম্বার আতিকুর রহমান বতু আকনসহ উত্তর বালাশুর নতুন গ্রাম এলাকার মৃত ইসমাইল আকনের ছেলে শফি আকন(৬০), মৃত আইনুদ্দিন ফকিরের ছেলে মানিক ফকির(৪৫) ও মৃত সালাম কাড়ালের ছেলে মোজাম কাড়াল(৪৮)গং জোড় পূর্বক দখল করে রাখে। এব্যাপারে জয়নাল ডাফার পক্ষে স্ত্রী ঝর্ণা বেগম(৪৫) বাদী হয়ে শফি আকনগংদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিঃ আদালত, মুন্সীগঞ্জে পিটিশন মামলা নং-৪৮/২২ ধারা-১৪৫ ফৌঃ কাঃ বিঃ দায়ের করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও গেল সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বতু আকনগং আরো অজ্ঞাতনামা লোকজন নিয়ে বিল্ডিং নির্মান করতে থাকলে এতে ঝর্ণা বেগম বাধা দিলে বতু আকনের হুকুমে অন্যান্যরা তাকে এলোপাথারী লাঠি লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে এবং তার চুলে ধরে ও পরনের কাপড় টানহেচড়া করে মাটিতে ফেলে দিয়ে গলায় থাকা স্বর্নের চেইন নিয়ে খুন করার হুমকি দেয়।
আহত ঝর্ণা বেগম বলেন, আমার স্বামীর ক্রয়কৃত মালিকাধীন সম্পত্তিতে বতু আকনের হুকুমে শফি আকন আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও বিল্ডিং নির্মান করছে। আমি বাধা দিলে বতুর হুকুমে আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে মারপিট করে এবং পরনে ব্লাউস ও কাপড় ছিড়ে ফেলে।
এব্যাপারে আতিকুর রহমান বতু আকনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা রাঢ়ীখাল ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবের অনুমতি নিয়ে এখানে কাজ করছি।
রাঢ়ীখাল ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবের অনুমতি নিয়ে কাজ করছি মেম্বারের এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান মোঃ বারেক খান(বারী) বলেন, নালিশী জমিতে তিনজন মালিক আছে। তিনজনের উকিল আমি বসেছিলাম। একটি সুষ্ঠ সমাধানও করে দিয়েছি। পরে জয়নাল ডাফাগং বিষয়টি মানেনি। আর আমি কাউকে বিল্ডিং নির্মানের কোন অনুমতি দেয়নি।
শ্রীগর থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শন(এস/আই) সুজায়েত বলেন, আমি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি ঝামেলার মুৃল কারন আলমগীর নামে একলোক। তিনি তার অন্য দাগের সম্পত্তি বিক্রি করে নালিশী দাগের সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়। তাতে এই ঝামেলা। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।