রাজৈরে বসতঘরে আগুনে সবকিছু শেষ
প্রকাশ : 2022-11-08 15:37:36১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মাদারীপুরের রাজৈরের ইশিবপুরের সোনাপাড়ায় কৃষক তারক শেখ এর চারটি বসতঘর, আসবাবপত্র, ধান চাল, পাট, বই খাতা, এইচএসসি ও ডিগ্রি পরীক্ষার্থীর প্রবেশ পত্র, সার্টিফিকেট, মাদ্রাসা ছাত্রের কোরআন হাদিস, দলিলপত্র, পাসপোর্ট, ল্যাপটপ, জামা কাপড় পুড়ে ছাই হয়েগিয়েছে।
আগুনে ধংস হয় দেড়শত মন পাট, ধান একশত মন, রবিশস্য পঞ্চাশ মন, স্বর্ণ চার ভরি, নগদ টাকা ষাট হাজার।ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় বিশ লাখ টাকা।
আগুন লাগার সঠিক কারন জানা না গেলেও, অনেকে বলছে বৈদ্যুতিক সর্টসার্টিকটে আগুন লাগতে পারে। এছাড়া ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী রাজৈর ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক গাড়ি এলে হয়তোবা ক্ষতির পরিমাণ কিছু কম হতো।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে আনুমানিক দেড়টার দিকে আগুনের সুত্রপাত হয়, মূহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পরে ঘরে ও আশেপাশের এলাকায়, পরে ভুক্তভোগীদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেস্টা করে রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, কিন্ত ততখনে ঘরে থাকা সবকিছু ছাই ও কয়লায় পরিনত হয়।
ভুক্তভোগী তারক শেখ বলেন, আমার সবকিছু পুড়ে ছাই হয়েছে, আমি এখন নিঃস। স্থানীয় শিক্ষক জাফর মাস্টার বলেন, রাজৈর ফায়ার সার্ভিস সঠিক সময়ে এলে এতো ক্ষতি হতো না, সরকার ও বৃত্তিবানদের সহায়তা কামনা করছি।
ক্ষতিগ্রস্ত এইচএসসি পরীক্ষার্থী নাছিমা আক্তার বলেন, আমি একজন পরীক্ষার্থী আমার প্রবেশ পত্র পুড়ে গেছে, আমি এখন কিভাবে পরীক্ষা দেবো।
রাজৈর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার সালাউদ্দিন লস্কর বলেন, আমাদের ফোন করে সংবাদ দিলে আমারা ইশিবপুর পর্যন্ত যাই, পরে আবার একই ফোন নাম্বার থেকে ফোন করে বলে আগুন নিভে গেছে, তখন আমরা ফিরে আসি।
রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আনিসুজ্জামান বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়েছি, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কিছু সহায়তা দেবো আমরা।