রাজধানীতে র‌্যাব-পুলিশের সঙ্গে মাদ্রাসাছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া  

প্রকাশ : 2021-03-26 22:02:12১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

রাজধানীতে র‌্যাব-পুলিশের সঙ্গে মাদ্রাসাছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া  

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন স্থানীয় মাদ্রাসা ছাত্ররা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ীর হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে কুতুবখালী এলাকায় লাঠিসোটা হাতে অবস্থান নিয়েছেন মাদ্রাসার ছাত্ররা। কয়েকটি জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন তারা। 

শুক্রবার বিকাল থেকেই ওই এলাকার সড়ক অবরোধ করেন শতাধিক মাদ্রাসা ছাত্র। তাদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে মাদ্রাসা ছাত্রদের ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের ৮-১০ জন সদস্য আহত হয়েছেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী অংশে রাত ৮টার দিকেও মাদ্রাসাছাত্রদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অর্ধশত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

ওয়ারী বিভাগের ডিসি শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, র‌্যাব-পুলিশের সঙ্গে মাদ্রাসা ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের ৮-১০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অবরোধে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ যাত্রাবাড়ীর আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন জনসাধারণ।

এর আগে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম কাজল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী মাদ্রাসার সামনে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করেন। এতে আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধ করার আধা ঘণ্টা পরেই তাদেরকে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আমরা সতর্ক রয়েছি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের মোনাজাত শেষে মুসল্লিদের একাংশ বিক্ষোভের আয়োজন করেন। এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় মুসল্লি, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। 

জানা গেছে, মুসল্লিরা মোদিবিরোধী স্লোগান দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মসজিদের উত্তর পাশের ফটকে মিছিলকারীদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। এতে বিক্ষোভকারীরা পিছু হটে মসজিদের ভেতরে ঢুকে পড়ে। কিছু সময় পর বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। 

এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিতে পুলিশ মসজিদের দিকে টিয়ার গ্যাস ও পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

এর আগে জুমার নামাজ শুরু হওয়ার আগ থেকেই মসজিদে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। কিছু কিছু নেতাকর্মী মসজিদের চারপাশে সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি র‌্যাব সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।