রংপুরে কাঁঠালের বাম্পার ফলন, দাম না পেয়ে হতাশ কৃষক

প্রকাশ : 2023-07-09 16:52:04১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

রংপুরে কাঁঠালের বাম্পার ফলন, দাম না পেয়ে  হতাশ কৃষক

কাউনিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভার বিভিন্ন গ্রামে চলতি মৌসুমে জাতীয় ফল কাঁঠালের বাম্পার ফলন হলেও দাম না পেয়ে কৃষক হতাশ। হাট বাজার গুলেতে কাঁঠালের ক্রেতার অভাবে অনেকে বাজারেই কাউকে এমনি দিয়ে দিচ্ছে। উৎপাদনের তুলনায় ক্রেতার চাহিদা কম হওয়ায় কাঠলের বাজারে ধস নেমেছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারে প্রচুর কাঁঠাল উঠলেও ক্রেতা নেই। জাতীয় ফল কাঁঠাল পুষ্টি গুণ অনেক বেশী হলেও দাম না থাকায় কাঁঠাল এখন কৃষকের কাঁধে বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে। কৃষকরা রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় বলছেন হামরা আর কয়টা খামো, হাটোৎ নিয়া গ্যাইলে কায়ও নিবার চায় না। যদিও কায়ও নিবার চয় তায় যে দাম কয় তাত হাটত নিয়া আইসা ভ্যান ভাড়াও ওঠে না। গত বছরত একনা ছোট কাঁঠালের দাম আছিল ৫০ টাকা আর বড় কাঁঠালের দাম আছিল ১৫০ টাকা  আর এলা হইল ২০ টাকা থাকি ৫০ টাকা। উপজেলার গদাই গ্রামের কৃষক গফুর আলী, রাজিব গ্রামের কৃষক শফিকুল বলেন, এবার গাছোত আল্লাহর রহমতে এটো বেশী কাঁঠাল ধরছে যে বাড়ীর সগায় মিলি দুই বেলা খাইয়াও শ্যাস হবার নয়। হাটোত নিলে তাতে আবার নিয়া যাওয়া আইসার খরচও ওঠে না
তাই কাঁঠাল এলা গরু ছাগলক খোয়াবার নাগছো। 

উপজেলার শাহবাজ গ্রামের শিক্ষক শহিদার রহমান জানান কাঁঠালের পুষ্টি গুণ অনেক বেশী কিন্ত এ বছর প্রচন্ড গরম থাকায় মানুষ অসুস্থ হওয়ার ভয়ে কাঠাল খাচ্ছেন না। তাছাড়া কাঁঠালের পুষ্টি গুণ সম্পর্কে অনেকেই জানেনা এমন কি জানানোর কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয় না। বিদেশী ফল নিয়ে আমরা বেশী ব্যস্ত। সরকারী ভাবে প্রাধান্য দিলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও মেহেমানদারীতে কাঁঠাল খাওয়ার প্রধান্য বাড়ত। কৃষি বিভাগ বা অন্য সংস্থা পদক্ষেপ গ্রহন না করায় গাছের কাঠাল গাছেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ পারভীন জানান উপজেলায় প্রচুর কাঁঠালের গাছ রয়েছে, তাছাড়া এবারে আবওহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলনও ভাল হয়েছে তাই মৌসুমের শুরুতে কিছুটা দাম থাকলেও বর্তমানে কাঁঠালের দাম খুবই কম।