যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ভারত
প্রকাশ : 2022-02-06 10:52:29১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
নর্থ অ্যান্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে প্রথমবারের মতো শিরোপার লড়াইয়ে খেলতে নামা ইংল্যান্ড দলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল ভারতের যুবারা। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৮৯ তুলে ইংল্যান্ড। জবাবে খেলতে নেমে ১৪ বল এবং ৪ উইকেট থাকতেই জয় নিশ্চিত হয় ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের।
যুব বিশ্বকাপের গত আসরে বাংলাদেশের কাছে শিরোপা হারলেও আগেই চার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। তারা প্রথবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০০০ সালে। এরপরে যুব বিশ্বকাপে আরও দশটি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে মোট সাতবার ফাইনালে উঠেছে তারা। এরমধ্যে ২০০৮, ২০১২ এবং ২০১৮ সালে শিরোপাও জিতেছে। আর ২০০৬, ২০১৬ এবং ২০২০ শিরোপা জিততে ব্যর্থ হয় ভারতে।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামা ইংলিশ যুবাদের এলোমেলো করে দেন ভারতের পেসাররা। ৯১ রানেই ইংল্যান্ডের ৭ উইকেট তুলে নেয় ভারত। সেখান থেকে দলকে ১৮৯ রানের সম্মানজনক স্কোর পাইয়ে দেন জেমস রিউ। ৩.৩ ওভারের মাথায় ১৮ রানেই ২ উইকেট হারানোর পর তিনি দলের হাল ধরেন। ব্যাট করেন ৪৩.১ ওভার পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে তিনি আরও পাঁচজন সঙ্গীকে হারান। ১৮৪ রানের মাথায় অষ্টম ব্যাটস্যান হিসেবে আউট হন রিউ। যাওয়ার আগে ১১৬ বলে ১২টি চারে ৯৫ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে যান।
শেষ দিকে ৬৫ বলে ২ চারে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন জেমস সেলস। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস খেলেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জর্জ থমাস। বল হাতে ভারতের রাজ বাওয়া ৯.৫ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩১ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন। ৯ ওভার বল করে ১ মেডেনসহ ৩৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন রবী কুমার।
মাত্র ১৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাও ভাল করতে পারেনি ভারতও।প্রথম ওভারেই আউট হন ওপোর অঙ্গক্রিশ রঘুবংশী। পরে হর্নুর সিংহকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন শেখ রশিদ। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে মাঠ ছাড়েন হর্নুরও।
পরে দায়িত্ব এসে পড়ে রশিদ এবং যশের কাঁধে। সেমিফাইনালে চাপের মুখে অসাধারণ জুটি গড়েছিলেন এই দুই ব্যাটার। ফাইনালেও ভালোই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়ার আগেই ফিরলেন রশিদ। অর্ধশতরান করেই তুলে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়লেন। কয়েক বল পরে আউট ঢুলও। পরপর দু’উইকেট নিয়ে তখন রক্তের স্বাদ পেয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ড। কিন্তু নিশান্ত সিন্ধু এবং রাজ মিলে ভারতকে বিশ্বকাপ জয়ের দিকে এগিয়ে দেয়। পরে সহজেই বন্দরে পৌঁছে যায় ভারতের যুবারা।