মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের জন্মবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রুদ্ধা, করলেন বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ
প্রকাশ : 2021-05-10 19:07:33১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বঙ্গবন্ধুর চীফ সিকিউরিটি অফিসার, মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মহোদয়ের আজ জন্মবার্ষিকী। এই শুভ দিনটি পড়েছে মাহে রমজানের ২৭ তম রোজার দিনে। মোহাম্মদ মহিউদ্দিন শুধু মুন্সীগঞ্জের গর্বিত সন্তান নয়, তিনি আর্ন্তজাতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে বাঙালী জাতিকে গর্বিত করেছেন। কেননা, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কো ‘ওয়াল্ডর্স ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’ এ অর্ন্তভূক্ত করা হয়।
ওই ঐতিহাসিক ভাষণ দেওয়ার সময় তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তার পেছনে দাঁড়িয়ে হাততালি দেওয়ার ভিডিওচিত্রে থাকা ব্যক্তিটি মুন্সীগঞ্জের লৌহমানব ও বিএলএফ’র ঢাকা বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। ইউনেস্কো ‘ওয়াল্ডর্স ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত চীফ সিকিউরিটি অফিসার, মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানমোহাম্মদ মহিউদ্দিনের নামও লিপিবদ্ধ রয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুব কাছে থাকা নেতৃবৃন্দের মধ্যে অনেকেই এখন জীবিত নেই। যে ক’জন ব্যক্তি জীবিত রয়েছে, তার মধ্যে মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন অন্যতম। বাঙালী জাতির গর্বিত সন্তান সেই মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের আজ সোমবার (১০মে) জন্মবার্ষিকী। তাই এ শুভদিনে আল্লাহর দরবারে তার দীর্ঘায়ু কামনাসহ সুস্থ রেখে আরও দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখবেন আমাদের মাঝে এ প্রার্থনা ।
তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জ্ঞাপনকালে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সকলের দোয়া কামনা করেন । এ সময় এক প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণে চলে যান। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর চীফ সিকিউরিটি অফিসার এবং মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেওয়ার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন মঞ্চে ওঠবেন এবং ঐতিহাসিক এ ভাষনে কি বলবেন, তা কেউ জানতো না। বঙ্গবন্ধু তার ভাষনে যখন বলছিলেন, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ঠিক সেই সময়ে আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম, আমার কাছে তখন মনে হয়েছিল যে, স্বর্গীয় কোন মহাপুরুষ বা মহামানব এ কথাগুলো বলছিলেন। এতো সুন্দর ও সাবলীল ভাবে গুছিয়ে হৃদয় মাখানো এ কথা গুলো কোন মানুষ বলতে পারে, তা তখন আমার মনে হয়নি। শুধু মনে হয়েছে, কোন মহাপুরুষ বা মহামানব এ কথা গুলো বলছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুব কাছে থাকা নেতৃবৃন্দের মধ্যে অনেকেই এখন জীবিত নেই। যে ক’জন ব্যক্তি জীবিত রয়েছে, তার মধ্যে মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন অন্যতম। মোহাম্মদ মহিউদ্দিন চীফ সিকিউরিটি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। এমনকি এখনও ৭ মার্চের ভাষণ প্রচারিত হলে বঙ্গবন্ধুর পেছনে দাড়িয়ে থেকে মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে হাততালি দিতে দেখা যায়।
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, এ সময় তার পেছনে দাড়ানো থাকাবস্থায় তার ভাষণ শুনে প্রায়ই শরীর শিউরে উঠছিল। ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে আমি মুর্হুতেই নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। ফলে মনের অজান্তেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পেছনে দাড়িয়ে হাততালি দিয়েছিলাম। যা নিজেই জানিনি। পরে ভাষণের ভিডিও দেখে বুঝেছি যে, লাখ লাখ জনতার সঙ্গে আমিও হাততালি দিয়েছিলাম।
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরও বলেন, সেই সময়ে পাকিস্তানের কোন অবস্থায়ই ছিল না। বঙ্গবন্ধু যা বলতেন, সেভাবেই সবকিছু চলতো। ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকেই চলতো দেশ পরিচালনা। সেই সময়ে যে চেতনা কাজ করছিল মানুষের মনে, তখন পাকিস্তানের কোন শব্দই ছিল না। এ দেশকে তখন থেকেই বাংলাদেশ বলে মনে লালন করছিল সবাই। পূর্ব পাকিস্তানও মনে করতো না কেউ।
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, অনেক মানুষই বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। আর তিনি আমাকে পছন্দ করতেন বলেই তার পায়ের নীচে থাকার সুভাগ্য হয়েছিল আমার।
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর যে মন মানসিকতা এবং জাতির জন্য তার যে চিন্তাভাবনা ছিল, তার কন্যা দেশের বর্তমান সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও মন মানসিকতা একই রকমের লক্ষ্য করছি। বঙ্গবন্ধুর মনের অবস্থান আর নেত্রীর মনের অবস্থান শতভাগ মিল খুজেঁ পাচ্ছি।