মোংলা বন্দরে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক পাঁচ ক্রেন
প্রকাশ : 2021-07-08 21:53:45১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের যান্ত্রিক ও তড়িৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সোহেল রানা জানান, সকাল থেকে ১৩ শ’ ৩২ টন ওজনের ৩টি ক্রেনসহ ৮০টি প্যাকেজে করে আনা মূল্যবান যন্ত্রাংশ খালাস করা হচ্ছে। পাঁচ দিনের মধ্যে খালাসের পর ৫টি ক্রেন জার্মান প্রকৌশলীদের দিয়ে বন্দরের জেটিতে যুক্ত করা হবে।পদ্মাসেতু চালু হলে মোংলা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের চাপ বাড়বে। এই অবস্থায় মোংলা বন্দরের স¶মতা দ্বিগুণ করতে জার্মানি থেকে কেনা হয়েছে অত্যাধুনিক ৫টি মোবাইল হারবার ক্রেন।মোংলা বন্দর কর্তৃপ¶ প্রথমে ১৫ জুন দুটি মোবাইল হারবার ক্রেন আমদানি করে। বুধবার বিকালে বাকি ৩টি ক্রেন নিয়ে বন্দর জেটিতে ভিড়েছে বিদেশী জাহাজ ‘ইমকি’।জার্মানের রকস্ট্রক বন্দর থেকে ছেড়ে আসা ইতালি পতাকাবাহী জাহাজটি বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে নোঙরের পর আজ সকাল থেকে খালাস শুরু হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের যান্ত্রিক ও তড়িৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সোহেল রানা জানান, সকাল থেকে ১৩ শ’ ৩২ টন ওজনের ৩টি ক্রেনসহ ৮০টি প্যাকেজে করে আনা মূল্যবান যন্ত্রাংশ খালাস করা হচ্ছে। পাঁচ দিনের মধ্যে খালাসের পর ৫টি ক্রেন জার্মান প্রকৌশলীদের দিয়ে বন্দরের জেটিতে যুক্ত করা হবে। জার্মানির লিভার কোম্পানি তৈরি ৫টি ক্রেন কিনতে মোংলা বন্দরের ব্যয় হয়েছে ১২০ কোটি টাকা। সাইফ পাওয়ার লিমিটেড এই ক্রেন সরবরাহ করেছে। এই ক্রেন দিয়ে বন্দরে ১২ সারিতে রাখা জাহাজের কন্টেইনার একসঙ্গে খালাস করা সম্ভব হবে। এতে করে বন্দরের স¶মতা দ্বিগুণ হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপ¶ের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসা বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও সমুদ্র বন্দর মোংলা নতুন রেকর্ড গড়েছে। গেল অর্থবছর বন্দরে সর্বোচ্চ ৯৭০টি জাহাজ ভিড়েছে। খালাস হয়েছে রেকর্ড ১১৯ কোটি ৪৫ লাখ টন পণ্য। রিকন্ডিশন গাড়ি এসেছে ১৪ হাজার ৪৪৭টি, যা থেকে রেকর্ড ৩৪০ কোটি টাকা আয় হয়েছে।বন্দর উন্নয়নে আরও প্রায় ৭ শ’ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। মাস্টার পান তৈরির কাজ চলছে এবং এটি বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতি ও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
১৯৫০ সালে বাণিজ্যিক জাহাজ ‘দ্যা সিটি অব লায়ন্স’ সুন্দরবনের পশুর নদীর জয়মনিরগোল এলাকায় নোঙর করে। এর মধ্যে যাত্রা শুরু হয় মোংলা বন্দরের।