মেহেরপুরে কৃষকের স্বপ্নের ফসল হাটু পানিতে

প্রকাশ : 2022-05-12 19:41:46১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

মেহেরপুরে কৃষকের স্বপ্নের ফসল হাটু পানিতে

কৃষকের স্বপ্নের ফসল তলিয়ে গেছে পানিতে। গত দুই দিনের ভারি বর্ষনের ফলে হাটু পনিতে তলিয়ে গেছে ধান। ধান কেটে সরিয়ে নিলেও ক্ষতি ঠেকাতে পারে নি কৃষক। ফলে দূশ্চিন্তায় দিন পার করছে তারা। জমি থেকে পানি বের না হলে রড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

মেহেরপুরে হঠাৎ গুড়িগুড়ি দু'দফা বৃষ্টিতে মেহেরপুর তিনটা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের পাকা ধান, কাটা ধান এর বাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । অতিমাত্রায় ভারী বৃষ্টির কারণে কৃষকের স্বপ্ন ভাসে পানিতে অন্যদিকে ৫০০ টাকা দিয়েও মিলছেনা শ্রমিক তাই কৃষকদের চোখেমুখে হতাশার গ্লানি। এই আবহাওয়া যেন কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেটে রাখা ধান পানিতে ভাসছে। মেহেরপুর সদর উপজেলার কালাচাঁদপুর মাঠে, ৭০ বয়সের  চাষী আলহামদু  মিয়া বলেন, আমার দুই বিঘা ধান ছিল দুই দিন আগে ধান কেটে ছিলাম তারপর থেকে পানি। এখন আমার স্বপ্ন পানিতে ভাসছে। এই ধান সমিতির লোন নিয়ে করেছি এখন সমিতির কিস্তি কিভাবে দিব। এ ধান এখন খাওয়ার উপযোগী নাই। এই বৃষ্টির ফলে যা ক্ষতি হয়েছে তাতে আমরা কি খাবো এই নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। আরও একজন চাষী আশাদুল ইসলাম বলেন, প্রকৃতির উপরে তো আমাদের কিছু করার নাই আমরা চিন্তায় আছি আবার যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আমাদের মাঠের ধান বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবো কিনা তা নিয়ে সন্দিহান। আমাদের খাবারে থেকে আমরা গো-খাদ্য নিয়ে বেশি চিন্তিত, যে ধান আমরা জমিতে কেটেছিলাম সেই ধান এখন মাঝে থেকে কাটতে হচ্ছে তাই গরুর খাদ্য হিসাবে আমরা কি ব্যবহার করব এনিয়ে  চিন্তায় আছি। সদর উপজেলার উজলপুর মাঠে চাষী সিদ্দিকুর বলেন, আমার তিন বিঘা জমিতে ধান আছে ধান তৈরি করতে আমার, ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন ধান কাটতে শ্রমিক পাচ্ছিনা শ্রমিকের মূল্য বেশি, তারপর ধান আবার পানিতে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এই ধান বিএডিসিতে আমরা বিক্রি করতে পারবোনা। আমরা এখন খুব হতাশায় জীবন যাপন করছি। আবার শুনছি ঘূর্ণিঝড় অশনি হবে এভাবে যদি আবার ঝড় হয় তাহলে মাঠের ধান আমরা তা নিয়ে যেতে পারবো না। 

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষন কর্মকর্তা সামছুল আলম বলেন, চাষিদের ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তোলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বৃষ্টির পানিতে যেন ধান নষ্ট না হয় সেজন্য ধান কাটার পর স্তুপ করে ঢেকে রেখে সংরক্ষন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।