মেহেরপুরে ইউপি নির্বাাচনে  ৩ টি নৌকা ও ৩ টি স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়

প্রকাশ : 2021-11-29 07:53:25১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

মেহেরপুরে ইউপি নির্বাাচনে  ৩ টি নৌকা ও ৩ টি স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়

অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হল ৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এই ধাপে মেহেরপুরের ৬ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার রাতে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে ভোট গননা শেষে বেসরকারীভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে। এ ভোট চলে রবিবার সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দীতা করেছেন ২১ জন প্রার্থী। 

নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন ৩ জন আর স্বতন্ত্র হিসাবে জয়লাভ করেছেন ৩ জন প্রার্থী। মেহেরপুর সদরের ২টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১২ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন মোঃ শাহ্জামান। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল ইসলাম রেজা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৪১৩। সদরের কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিম রেজা আনারস প্রতীক নিয়ে ১৬ হাজার ৫৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী সরকার দলীয় ইদ্রিস আলী নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১০ হাজার ৭২৮। অপরদিকে গাংনী উপজেলায় ৪ টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে কাজিপুর ইউপি’র স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম হুসাইন ৭ হাজার ১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল আলীম পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৫৪ ভোট। 

ষোলটাকা ইউপিতে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন পাশা ৪ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামীলীগের প্রার্থী দেলবার হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৩১ ভোট। এ ছাড়াও রাইপুর ইউপি’র আওয়ামীলীগের প্রার্থী গোলাম সাকলায়েন ছেপু ৫ হাজার ২৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলফাজ উদ্দীন কালু পেয়েছেন ৪ হাজার ১৪৫ ভোট। অপরদিকে ধানখোলা ইউপিতে কোন প্রতিদ্ব›দ্বী না থাকায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক বেসরকারী ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

এদিকে নির্বাচনী সময়ে বেশ কিছু কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানের অভিযোগে একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। বেশ কিছু কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, এবং কেন্দ্রে বিশৃক্সখলার সৃষ্ঠি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাব পুলিশ ও আনছার বাহিনী নিয়োজিত ছিলেন।