মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন
প্রকাশ : 2021-12-12 12:42:10১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলা নেওয়ার জন্য আদালতে একটি আবেদন জমা পড়েছে।
আজ রোববার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা ওমর ওমর ফারুক ফারুকী এই আবেদন জমা দিয়েছেন।
ওমর ফারুক ফারুকীর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আজ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছুটিতে আছেন। তাই আবেদনের বিষয়ে আগামীকাল সোমবার শুনানি হতে পারে।
মামলা নেওয়ার আবেদনে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার নাতনি ও তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান লন্ডনে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। তাঁর সম্পর্কে মানহানিকর ও মিথ্যা তথ্যসংবলিত বক্তব্য দিয়েছেন মুরাদ হাসান। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলা নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
নারীর প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ, অশালীন ও অবমাননাকর বক্তব্যের জেরে সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারান সরকার দলীয় সাংসদ মুরাদ হাসান।
সম্প্রতি জাইমাকে নিয়ে মুরাদ হাসানের অশ্লীল মন্তব্য ঘিরে কয়েক দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা হচ্ছিল। এর মধ্যেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মুরাদ হাসানের ফোনালাপের একটি অডিও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি নোংরা ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। একই সঙ্গে তাঁকে হুমকিও দেন।
এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান।
পদ হারানোর পর মুরাদ হাসান কানাডার উদ্দেশে দেশ ছাড়েন। তবে কানাডার বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি তাঁকে সে দেশে ঢুকতে দেয়নি। এখন তিনি কোথায় আছেন, সেটা কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারছে না।
সরকার ও আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, মন্ত্রিত্ব হারানোর পাশাপাশি দল থেকেও বাদ পড়তে পারেন মুরাদ হাসান। ২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সাংসদ। তাঁর বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।