মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া প্রতিপক্ষের হামলায় পা ভেঙে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ হাসপাতালে 

প্রকাশ : 2024-10-30 18:38:11১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া প্রতিপক্ষের হামলায় পা ভেঙে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ হাসপাতালে 

মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া বাজার থেকে ফেরার পথে রাস্তা রুখে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ ফজলুল হক কে অতর্কিত হামলা করে পা ভেঙে দিলো প্রতিপক্ষের লোকজন।বুধবার সকালে গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের বৈদ্যারগাঁও বাজার থেকে আসার পথে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়,জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বৈদ্যারগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের পরিবারের সঙ্গে একি গ্রামের প্রতিপক্ষ লিয়াকত আলী ও কাকন মিয়ার পরিবারের দ্বন্দ্ব চলে আসছে।

বুধবার সকাল ৯ ঘটিকায় ফজলুল হকের বাড়িতে প্রবেশ করে মোঃসাদ্দাম(৩৫) ও আকাশ(২২) সহ একাধিক ব্যক্তি ফজলুল হককে খোঁজতে থাকে,ফজলুলের বৃদ্ধা স্ত্রী জানায় তার স্বামী বাড়িতে নেই বাজারে গেছে।তখন ফজলুল হক মেম্বার কে না পেয়ে তার বাড়ি ঘরের টিনের বেড়া,ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে তারা।

এ ঘটনার ২০থেকে ২৫ মিনিট পর বাড়ির উদ্দেশ্যে বাজার থেকে পায়ে হেটে আশার পথে রাস্তা আটকিয়ে পূণরায় ফজলুল হক মেম্বার কে হত্যার উদ্দেশ্যে সাদ্দাম, আকাশ সহ একাধিক ব্যক্তি এলোপাতাড়ি লোহার পাইব আর কাঠের ডাসা দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।সাদ্দামের হাতের পাইব দিয়ে ফজলুল হকের হাটুর নিচে আঘাত করলে তার পা ভেঙে যায়,এবং আকাশ হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করতে চেষ্টা করছে তা ফজলুল হকের কাধে পরে,এমন অভিযোগ করেছে ফজলুল হকের মেয়ে সুরাইয়া আক্তার।

ফজলুল হকের আত্ম চিৎকারে এলাকা বাসি ছুঁটে আসলে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ফজলুল হক কে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রোগীর কন্ডিশন গুরুত্ব বিদায় তাকে ঢাকা রেফার করা হয়।ফজলুল হক বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

প্রতিপক্ষ সাদ্দাম জানায়,ফজলুল হক তার ফুফা,তাদের সঙ্গে একাধিকবার পারিবারিক ও এলাকায় ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে জমি সংক্রান্ত বিষয় বসা হয়েছে।ফজলুল হক সাবেক মেম্বার হওয়ায় পেশি শক্তিরবলে  দজোড়পূবক সাদ্দাম হোসেন সহ আরো একাধিক শরিকদের জমি একা ভোগ দখলে রেখেছে।পারিবারিক সালিশে ২ মাসের মধ্যে সকলের জমি ফজলুল হক বুঝিয়ে দিবে বলে ও তা না করে আবার অন্যত ব্যক্তির নিকট জমি মেয়াদে লাগিয়ে টাকা নিয়ে এসেছে।৪০শতাংশ জমির মধ্যে মূলত ফজলুল হক আড়াই শতাংশ জমির মালিক।তবে সে সম্পূর্ণ ৪০ শতাংশ জমি নিজে একা ভোগদখলে রেখেছে।তাছাড়া মারামারি বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে জানায় এরকম কোনো ঘটনা তারা ঘটায়নি।