মুন্সীগঞ্জের তিন উপজেলায় রাসেল ভাইপার আতঙ্ক
প্রকাশ : 2024-06-24 11:12:33১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
সারা দেশের ন্যায় মুন্সীগঞ্জেও বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপারের বিস্তার ঘটেছে। তবে জেলার ছয়টি উপজেলার মধ্যে পদ্মা তীরবর্তী লৌহজং, শ্রীনগর ও টঙ্গীবাড়িতে দুই সপ্তাহ ধরে রাসেলস ভাইপার দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে তিন উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে লোকজন এ সাপ দেখামাত্র পিটিয়ে মেরে ফেলছে। হাটে-বাজারে, রাস্তাঘাটে, চায়ের দোকানে এখন রাসেলস ভাইপার প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সাপের দংশন থেকে পরিত্রাণ পেতে লৌহজং উপজেলা প্রশাসন কয়েকদিন ধরে সচেতনতামূলক মাইকিং করে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৯ সালে ভারত থেকে পদ্মানদীতে ঢলের পানিতে রাসেলস ভাইপার এ দেশে ভেসে আসে। সেই থেকে লৌহজংয়ে রাসেলস ভাইপার সাপের বিস্তার দেখা যায়। একই বছর উপজেলার মশদগাঁও গ্রামের এক ব্যক্তি এ সাপের কামড়ে মারা যায়। পাঁচ বছরে রাসেলস ভাইপার সাপের দংশনে লৌহজং উপজেলায় চার ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। প্রাণে বেঁচে গেছেন দুজন। লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুস সালেহীন জানান, রাসেলস ভাইপার সাপের বিষ ক্ষয়ে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন প্রয়োগ একটু জটিল প্রক্রিয়া। কারণ, ইনজেকশন পুশ করার পর সাপে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেক্ষেত্রে আইসিইউর প্রয়োজন হয়। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে এলে কোনো সমস্যা হয় না।
সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুরুল আলম বলেছেন, দেশে রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ নিয়ে যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে আতঙ্কের বদলে সতর্কতা ও সচেতনতার তাগিদ দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, সতর্ক থাকলে এবং সাপের বিচরণস্থল এড়িয়ে চললে দংশিত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। আর সময়মতো হাসপাতালে গেলে মৃত্যুর আশঙ্কাও কমে যায়। সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুরুল আলম আরও জানান, মুন্সীগঞ্জের প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাসেলস ভাইপার সাপের বিষ ক্ষয়ের ওষুধ অ্যান্টিভেনমের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।
সান