মিয়ানমার ইস্যুতে সশস্ত্রবাহিনী-বিজিবিকে ধৈর্য ধরার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রকাশ : 2024-02-05 19:17:01১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ও বাংলাদেশের সীমান্তে এর প্রভাব নিয়ে সশস্ত্রবাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।মিয়ানমারের অভ্যন্তরীন ওই ঘটনা বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে আইনমন্ত্রী সংসদে প্রশ্নোত্তরে সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
মুজিবুল হক তার সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে অনেকটা যুদ্ধের মত চলছে। যে কারণে সেখান থেকে সাধারণ মানুষ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। গোলাগুলি হচ্ছে। সেই গোলা এসে বাংলাদেশে পড়ছে। পত্রিকার খবর অনুযায়ী সেখানে (বাংলাদেশী সীমানায়) কিছু গোলাও পাওয়া গেছে। মানুষ নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বোধহয় বন্ধ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় জানতে চাই- আমাদের বর্ডার এবং স্থানীয় মানুষগুলির নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এ ব্যাপারে সরকার ওয়াকিবহাল আছে। আজকে যে ঘটনা ঘটেছে- ৭৮ জন মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশ বাংলাদেশে চলে এসেছে। তাদের মধ্যে কিছু কিছু আহতও আছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদেরকে আপাতত একটা স্কুলে রাখা হয়েছে। মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটা আলোচনার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা সেই আলোচনা করার জন্য এবং তাদেরকে ফেরত পাঠানো বা ফেরত যদি পাঠানো না যায় তাহলে অন্যান্য ব্যবস্থা কী করা যায় সেটাও হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, গতকাল (রবিবার) যেটা হয়েছিলো। মর্টার শেলে আমাদের একজন মারা গেছে। ওদেরও একজন মারা গেছে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশ খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওই ঘটনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বা প্যারামিলিটারী বাহিনী (বিজিবি) যেটা বর্ডারে রয়েছে তাদের ধৈর্য ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার সংসদের বৈঠকের শুরুকে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।
ই