মার্চের মধ্যে শেষ হবে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন: মেয়র তাপস

প্রকাশ : 2022-08-10 13:39:44১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

মার্চের মধ্যে শেষ হবে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন: মেয়র তাপস

আগামী বছরের মার্চের মধ্যে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল আধুনিকায়নের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, সায়েদাবাদ টার্মিনালে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে।

আজ বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সায়েদাবাদ কেন্দ্রীয় মোটর গ্যারেজ ও বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রম সফলভাবে শুরু হয়েছে। একটি যাত্রাপথের কাজ আমরা শুরু করেছি। আরও তিনটি যাত্রাপথ ১ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করব। আমরা সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের আধুনিকায়নের কার্যক্রম নিজ অর্থায়নে শুরু করেছি। ৩০ কোটি টাকার মধ্যে আমরা এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। 

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল নির্মাণের পর দীর্ঘদিন কোনো সংস্কার করা হয়নি জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতাসহ টার্মিনালের অবকাঠামো ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের আওতায় ঢাকা শহরের গণপরিবহনকে যাতে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা যায়, সেজন্য আমরা এই কাজ হাতে নিয়েছি। দ্রুত কাজ চলছে, আমরা আশাবাদী আগামী মার্চের মধ্যে এই কাজ শেষ করে উদ্বোধন করতে পারব।

তিনি বলেন, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হচ্ছে। এখানে আলাদাভাবে বাস রাখার জায়গা, শ্রমিকদের বিশ্রামের জায়গা, শৌচাগার করা হচ্ছে। এছাড়া যাত্রীরা যাতে ভেতরে প্রবেশ করে সেবা নিতে পারেন, সেজন্য এই টার্মিনালের সংস্কার করা হচ্ছে। 

তাপস বলেন, আমরা ২টি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একটি কাঁচপুরে অন্যটি কেরানীগঞ্জের কাছাকাছি। এর মধ্যে একটি জমির অধিগ্রহণ হয়েছে, আমরা হস্তান্তর চেয়েছি। আরেকটি জমির অধিগ্রহণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এগুলো নির্মাণ হতে আরও ৩-৪ বছর লেগে যাবে। এর মধ্যে বাসগুলো যেন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে, সেজন্যই আমরা বাস টার্মিনাল সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, কিছু পথ টার্মিনালের কাছে এসে সংকীর্ণ হয়ে গেছে। তাই আমরা নিচের রাস্তা সংস্কার ও প্রশস্ত করার কাজ হাতে নিয়েছি। টার্মিনালের ভেতর দিয়ে উড়াল সেতুতে প্রবেশের পথ রয়েছে, কিন্তু সেগুলো কার্যকর নয়। সেজন্য আমরা নতুন করে এটা কার্যকর করতে পরিকল্পনা করেছি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ফজলে নূর তাপস বলেন, পোস্টার, বিভিন্ন ধরনের রঙ দিয়ে লিখে আমাদের অবকাঠামোগুলোকে আচ্ছাদন করা হয়। এখানে জনগণের সচেতনতাই মুখ্য। আমরা আশা করব, তারা এগুলো থেকে বিরত থাকবেন। এক্ষেত্রে আমাদের আইন রয়েছে, কিন্তু আমরা প্রয়োগ করি না। অবকাঠামো নির্মাণে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হলে এর উৎকর্ষতার জন্য যা করা দরকার, আমরা করব। অবকাঠামো সুন্দর, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। 

এ সময় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন, অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।