মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশ : 2021-12-10 11:23:39১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আজ শুক্রবার বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জনসাধারণ তাদের অধিকার সম্পর্কে যাতে আরও বেশি সচেতন হতে পারে এবং মানবাধিকার বিষয়ে কমিশনের কাছ থেকে সহায়তা পেতে পারে, সে লক্ষ্যে কমিশনকে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সামগ্রিক কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।

মানবাধিকার সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘মানবাধিকার দিবস ২০২১’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি। সব বৈষম্য দূর করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমতার সমাজ গঠনের এখনই সময়। এ প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘বৈষম্য ঘোচাও, সাম্য বাড়াও মানবাধিকারের সুরক্ষা দাও’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধানে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সব মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। বাংলাদেশের সংবিধান জাতিসংঘ ঘোষিত সর্বজনীন মানবাধিকারের সঙ্গে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ। মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ২০০৯ সালে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করে।

এ বছর দিবসটি উদযাপনের পাশাপাশি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ’ শীর্ষক রচনা প্রতিযাগিতা আয়োজন এবং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মানবাধিকার বৃত্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ায় রাষ্ট্রপতি মানবাধিকার কমিশনকে ধন্যবাদ জানান।

শিশুদের শৈশব থেকেই মানবাধিকার চর্চার জন্য ‘মানবাধিকার কোর্স’ চালু কমিশনের একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কমিশনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ন্যাশনাল ইনকোয়ারি হচ্ছে, যা নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রাষ্ট্রপতি আশাবাদ জানিয়ে বলেন, মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতিকার পাওয়ার পথ সুগম করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন তিনি।