মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু, সর্বোচ্চ শাস্তি চায় রাষ্ট্রপক্ষ

প্রকাশ : 2025-08-03 13:20:52১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু, সর্বোচ্চ শাস্তি চায় রাষ্ট্রপক্ষ

২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আজ রোববার থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়ার শুরুতে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মামলায় জড়িত প্রত্যেকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে চায় তারা।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য শুরুর সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। রাষ্ট্রপক্ষ সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছে।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সূচনা বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে উপস্থাপিত তথ্য-প্রমাণ এতটাই শক্তিশালী যে এই মামলার বিচারে সন্দেহের কোনো অবকাশ থাকবে না।

২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আজ রোববার থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়ার শুরুতে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মামলায় জড়িত প্রত্যেকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে চায় তারা।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য শুরুর সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। রাষ্ট্রপক্ষ সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছে।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সূচনা বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে উপস্থাপিত তথ্য-প্রমাণ এতটাই শক্তিশালী যে এই মামলার বিচারে সন্দেহের কোনো অবকাশ থাকবে না।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মোট ৮১ জন সাক্ষী থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ ২৫ থেকে ৩০ জনকে সরাসরি ট্রাইব্যুনালে হাজির করে জেরা করা হবে। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও বিচার কার্যক্রম বিটিভি ছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ হলো: মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড সংঘটনের নির্দেশ, আন্দোলন দমন করতে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে উস্কানি ও প্ররোচনা প্রদান, আবু সাঈদ নামে এক আন্দোলনকারীকে হত্যার নির্দেশ প্রদান, চাঁনখারপুলে ছয়জন বিক্ষোভকারীর হত্যাকাণ্ড, আশুলিয়ায় আন্দোলনকারীদের মরদেহ পোড়ানোর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন।


এ মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনও আসামির তালিকায় রয়েছেন।

এদিকে রোববার সকালেই মামলার গুরুত্বপূর্ণ রাজসাক্ষী হিসেবে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলায় তিনি আসামি হলেও, আদালত পরে তাঁকে রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্যদানে সম্মতি দেন।