মাদারীপুর থেকে কক্সবাজারে নারী পর্যটককে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আশিক গ্রেপ্তার

প্রকাশ : 2021-12-27 10:16:54১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

মাদারীপুর থেকে  কক্সবাজারে নারী পর্যটককে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি  আশিক গ্রেপ্তার

মাদারীপুর থেকে কক্সবাজারে নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। রবিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানানো হয়েছে। রবিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান হোসেন। 

র‍্যাব কর্মকর্তা দাবি করেন, আশিকুল ইসলাম পলাতক ছিলেন। তিনি এ ঘটনার মূল হোতা। তাকে গ্রেপ্তার করতে র‍্যাব বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। সর্বশেষ রবিবার তাকে মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এর আগে  শনিবার রাতে এ মামলার এজাহারভুক্ত দুজনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়া গ্রামের রেজাউল করিম (৩০), একই গ্রামের মেহেদী হাসান (২৫) ও চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবনিয়া গ্রামের মামুনুর রশীদ (২৮)। 

এর আগে হোটেল ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ আলোচিত মামলায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ভিকটিম পর্যটক নারী দাবি করেন, গত বুধবার সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে যান তিনি। এরপর তাঁরা শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে ওঠেন। সেখান থেকে বিকেলে যান সৈকতের লাবনী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তাঁর স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তাঁর আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। 

ওই ভুক্তভোগী আরও দাবি করেন, এ সময় আরেকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তাঁকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে তিনজন। ধর্ষণ শেষে তাঁকে নেওয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে। সেখানে আরেক দফা তাঁকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে হুমকি দিয়ে রুম বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। এর মধ্যে ওই নারী জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক যুবকের সহায়তায় দরজা খোলেন। এরপর ফোন দেন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ। পুলিশ তাঁকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়।এর পরই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মুল আসামীকে আটক করে।