মাদারীপুরে বন্যার পানিতে নিজ্জিত স্কুল, শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশ : 2021-09-09 13:40:12১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

মাদারীপুরে বন্যার পানিতে নিজ্জিত স্কুল, শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে শঙ্কা

করোনা মহামারীর কারনে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর আগামী রবিবার ( ১২ সেপ্টেম্বর) খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে নানা প্রস্তুতি । অথচ মাদারীপুরে বন্যার পানি উঠে যাওয়ায় পাঠদানে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে জেলার  পাঁচ উপজেলায় অন্তত ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩টি, রাজৈর উপজেলায় ৪টি, কালকিনি উপজেলায় ৫ ও শিবচর উপজেলায় ৮টি বিদ্যালয়।

এসব বিদ্যালয়ের মাঠে ও যাতায়াত পথে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের। এমতাবস্থায় দীর্ঘ দেড় বছর পর আগামী ১২ সেপ্টেন্বর থেকে বিদ্যালয় চালু হলে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। 

পানিবন্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে রাঘদী নাগরদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুকুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিজলবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নুরুদ্দিন মোল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত ২০টি। 

এব্যাপারে রাজৈর উপজেলার রাঘদী নাগরদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সম্রাট হোসেন মোল্লা জানান, চার পাশ দিয়ে বন্যার পানিতে বিদ্যালয়টি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়র মাঠে পাট-খড়ি ও ধানের খড়ের পালা দিয়ে রাখছেন এলাকাবাসি। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি আমরা।’ 

রাঘদী নাগরদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প ম শ্রেণির ছাত্রী লামিয়া আক্তার জানায়, ‘স্কুলের চার পাশ দিয়ে পানি আমরা কি ভাবে স্কুলে যাবো। এতে আমাদের শিক্ষা নিয়ে শঙ্কিত। এব্যাপারে শিক্ষা কর্মকর্তাদের নজর দেয়া উচিত।’ 

এব্যাপারে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাশিদা খাতুন জানান, ‘আমরা কয়েকদিন পূর্বে অনেকগুলো স্কুল পরিদর্শন করেছি। কয়েকটি বিদ্যালয়ের যাতায়াতের রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে আপাতত পাঠদানে কোন সমস্যা হবে না। এছাড়া করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ গঠনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। আগামীতে আরো কঠিণ পরিস্থিতি হলে স্কুল চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।’

এব্যাপারে মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন আহম্মেদ জানান, ‘আমরা জেলার যেসব বিদ্যালয় পানি উঠতে পারে, তার একটি তালিকা তৈরি করেছি। এখন পর্যন্ত বেশ কিছু বিদ্যালয় মাঠে পানি উঠেছে। তবে বিদ্যালয়ের ভিতরে পানি উঠেনি। যদি পানি উঠে তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হবে।’