মাদারীপুরে প্রাইভেট না পড়ায় নবম এক স্কুল শিক্ষার্থীকে নির্যাতন
প্রকাশ : 2023-03-26 12:27:52১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মাদারীপুরে প্রাইভেট না পড়ায় নবম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম রমজান মোল্লা। তিনি মোস্তফাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষক। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. জিহাদ মোল্লা। মানবিক বিভাগের ওই শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ভিডিও
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২১ মার্চ দ্বিতীয় শিফটে পরীক্ষা দিচ্ছিল জিহাদ। সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলার জের ধরে ওই শিক্ষক ছাত্রের খাতা কেড়ে নেয়। এতে উত্তরপত্র কিছুটা ছিঁড়ে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানায় ওই শিক্ষার্থী। পরে শিক্ষক রমজান উত্তরপত্র পুরো ছিঁড়ে ফেলেন এবং শিক্ষার্থীকে ঘুষি দিতে দিতে মাঠে নিয়ে আসেন। ভাইরাল হওয়া ১৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, রমজান মোল্লা এক শিক্ষার্থীর শার্টের কলার ধরে মারতে মারতে মাঠের দিকে নিয়ে আসছেন।পেছনে ছাত্রছাত্রীরা জড়ো হয়ে তাদের অনুসরণ করে।নির্যাতিত ছাত্র জিহাদ খান বলে, আমি পরীক্ষা দেওয়ার সময় আমার এক সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলছিলাম। রমজান স্যার দেখে ফেলায় তিনি এসে আমার খাতা নিয়ে যান। আমি প্রতিবাদ জানালে তিনি আমার খাতা পুরোপুরি ছিঁড়ে শার্টের কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে মাঠের মধ্যে নিয়ে আসেন এবং কিলঘুসি দেন। এ সময় একই ক্লাসে পড়ুয়া তার ছেলে এসে স্যারের সঙ্গে আমাকে মারতে থাকে। আমি বাড়ি চলে যেতে চাইলে, সে আমাকে ল্যাং মেরে মাঠের মধ্যে ফেলে দেয়। তারপর টেনে লাইব্রেরিতে নিয়ে মারধর করে। আমার অপরাধ আমি তার কাছে প্রাইভেট পড়ি না। যারা প্রাইভেট পড়ে না তিনি তাদের বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করেন। অভিযুক্ত রমজান মোল্লা বলেন, ওই ছাত্র আমার সঙ্গে বেয়াদবি করেছে। তাই রেগে আমি তাকে মেরেছি।সে আমার ছেলেকে মারতে চেয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিন বলেন,
আমি বিদ্যালয়ে ছিলাম না। তবে ঘটনাটি শুনে অভিযুক্ত শিক্ষককে সতর্ক করেছি।জেলা শিক্ষা অফিসার হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, কোনো শিক্ষক এ কাজ করতে পারে না। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ফোন করে বিষয়টি সমাধান করার জন্য বলব। মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাইনউদ্দিন বলেন, কোনোভাবেই একজন শিক্ষক এরকম শাস্তি দিতে পারেন না। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।