মাদারীপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আম্রয়নের ঘর পাইয়ে দেবার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশ : 2023-03-07 17:03:45১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

মাদারীপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আম্রয়নের ঘর পাইয়ে দেবার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

মাদারীপুরে প্রধানমন্ত্রীর  উপহার আম্রয়নের ঘর পাইয়ে দেবার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ  ইউপি মেম্বারের  বিরুদ্ধে।মা দারীপুরের রাজৈরে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে এক ইউপি সদস্য অসহায় পরিবারগুলোর কাছ থেকে ঘর প্রতি ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে টাকার বিনিময়ে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দ ও জমির দলিল বুঝে পাওয়ার পর ভুক্তভোগীরা জেলা প্রশাসকের কাছে সেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য লিখিত আবেদনও করেছেন। ঘর বরাদ্দের নামে টাকা আদায় করা অভিযুক্ত ওই ইউপি সদস্যের নাম তাঁরা মিয়া বেপারী। তিনি রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও রাজৈর উপজেলা মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি।

জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন ও রাজৈর উপজেলা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল, অসহায় দরিদ্র পরিবারকে পুনর্বাসনের গৃহীত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পটির ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে রাজৈর উপজেলায় ১২০টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে বাজিতপুর ইউনিয়নের কামালদি এলাকায় ৩৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়। কামালদির আগে একই ইউনিয়নে প্রথম পর্যায়ে সুতারকান্দি এলাকায় ৫৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে এসব প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় এক লাখ ৯০ হাজার টাকা। গত বছরের জুনে ঘরগুলো অসহায় পরিবারগুলো বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে উপকারভোগী পরিবারগুলো জানুয়ারি মাসে জমির দলিল বুঝে পান। পরে ভুক্তভোগীরা জানতে পারেন সরকারি এই ঘর পেতে কোনো টাকার দরকার পড়েনি। এরপরেই ঘর বরাদ্দের জন্য ইউপি সদস্য তাঁরা মিয়া বেপারীকে দেয়া টাকা ফেরত চান ভুক্তভোগীরা। টাকা ফেরত না দিলে মেম্বারের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন বরাদ্দ পাওয়া ঘরের বাসিন্দারা।

জেলা প্রশাসকের কাছে টাকা ফেরত চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন আনেচ আকন নামে এক উপকারভোগী। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাঁরা মেম্বার জমি আর ঘর দেয়ার কথা বলে আমার থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে। পরে শুনি সরকারি এই ঘরের জন্য কোনো টাকা-পয়সা লাগে নাই। পরে টাকা ফেরত চাইলে তিনি ভয় দেখায়। এ জন্য টাকা ফেরত পাইতে ডিসি স্যারের কাছে আবেদন করেছি।’