মাদারীপুরে পাটের ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

প্রকাশ : 2025-08-11 15:48:09১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

মাদারীপুরে পাটের ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

মাদারীপুর জেলার ৫টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে শুরুতে অতিবৃষ্টি ও প্রচন্ড রোদে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক পাটক্ষেত। আগাম বৃষ্টিতে ক্ষেতের নিচু অংশে পানি জমায় পাটের গোড়ায় পচন ধরায় অনেকেই অপরিপক্ক পাট কেটে ফেলেছেন। পাট রোপনের প্রথম দিকে প্রচন্ড খরা থাকায় বারবার সেচ দেওয়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ। কৃষকের দাবি প্রথম দিকে খড়া ছিল,এরপর বৃষ্টিতে পাট একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। আগে বিঘায় ১৫ থেকে ২০ মণ পাট হলেও এবার সর্বোচ্চ হবে ৬ থেকে ৭ মন। ইতোমধ্যে ক্ষেত থেকে পাট কাটা অধিকাংশ জায়গায় কাজ শেষ করেছে। অনেকে আবার পাট পরিপত্র করার ব্যস্ত সময় পার করছে,আর মুক্ত জলাশয়ে জাগ দেওয়া পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর ও শুকানো কাজ শেষ করে বিক্রির চিন্তা করছেন। কিন্তু দাম নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।
মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের পখিরা এলাকার কৃষক কুদ্দুস বেপারী। প্রতিবছরের ন্যায়ে এবারও দেড় একর জমিতে পাট রোপন করেন। কিন্তু অতিবৃষ্টি ও প্রচন্ড রোদে অধিকাংশ জায়গার পাট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবার লোকসান পোহাতে হবে তার। তবে শুধু কুদ্দুস বেপারী নন এই এলাকার অন্তত পঞ্চাশ জন কৃষকের একই অবস্থা।তাদের অভিযোগ, প্রতি বিঘাতে পাট চাষাবাদে হালচাষ, বীজ, সার, কীটনাশক, পানি সেচ, নিড়ানি, জাগ দেওয়া ও শ্রমিকসহ ঘরে উঠানো পযন্ত খরচ পড়ে প্রায় ১১ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকা। যেখানে বিঘা প্রতি ফলন হয় ৬-৭ মণ। এতে সকল খরচ বাদ দিয়ে লাভ তো দূরের কথা সমান থাকতেই কষ্ট হবে।
এদিকে মাদারীপুরে কিছু জায়গায় চলতি বছর পাটের ফলন ভালো হলেও পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। এর মধ্যে উৎপাদন খরচ আগের তুলনায় অনেক বেড়ে যাওয়ায় পাটের ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষকেরা। সরকারি ও বেসরকারি পাটকলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সঠিক দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ও হতাশায় পড়েছেন কৃষকরা।
মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ড. সন্তোষ চন্দ্র বলেন, স্বচ্ছ পানিতে যত্ন সহকারে পাট জাগ দিয়ে সুন্দর পাটে আঁশ উৎপাদন করতে পারলে কৃষকরা বাজারে ভালো দাম পাবে।
জানা গেছে, চলতি বছর মাদারীপুর জেলার ৫টি উপজেলায় চলতি বছর ৩৬ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে দেশি, তোষা ও মেস্তা জাতের পাটের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল।যা থেকে ৩৪ হাজার ৯শ’ ২১ মেট্রিক টন পাট উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।