মাদারীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত তাওহীদের পরিবারের শহীদ স্বীকৃতি চান

প্রকাশ : 2024-08-15 17:36:39১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

মাদারীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত তাওহীদের পরিবারের শহীদ স্বীকৃতি চান

মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ারভাঙ্গা গ্রামের সালাহউদ্দিন সন্নামাতের ছেলে তাওহীদ সন্নামত (১৮)। লেখাপাড়র পাশিপাশি পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য কাজ করতে রাজ মিস্ত্রির। গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯ জুলাই বিকেলে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। এসময় গুলিতে নিহত হয় তাওহীদ সন্নামত। নিহত হওয়ার পরে পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। আন্দোলনে গুলিতে নিহত তাওহীদ সন্ন্যামাতের পরিবার সরকারিভাবে শহীদ স্বীকৃতির দাবি করেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের সাথে সদর উপজেলার খাগদী এলাকায় যোগ দেয় তাওহীদ। এ সময় এলোপাতারি গুলি ছুঁড়লে নিহত হয় তাওহিদ। রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় এই বিষয় নিয়ে কথা বলতেও ভয় পেতেন। তবে ১৪ আগস্ট পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে শহীদের স্বীকৃতির দাবি তোলা হয়। বিভিন্ন স্থানে দাবী সম্বলিত ফেস্টুনও টানানো হয়েছে।

মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ব্যাসস্ট্যান্ডের গোল চত্ত্বরটি শহীদ তাওহীদের নামে নামকরণ করার দাবি তুলে তাওহীদের বাবা সালাউদ্দিন সন্নামাত বলেন, সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা না পেলে কোনভাবেই বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। ছোট সন্তান হলেও আয়ের অর্থ দিয়ে পরিবার চালানোর পাশাপাশি বড়ভাইয়ের পড়ালেখার খরচ দিতো সে। তাওহীদের আকষ্মিক মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

তাওহীদের মামা ইব্রাহীম খলিল বলেন, তাওহীদ ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে গুলিতে মারা গেছে। এর আগে একদল সন্ত্রাসী তাওহীদকে কুপিয়ে আহত করে। তাওহীদের নামে এলাকায় একটি স্মরনীয় স্থাপনা নির্মানের দাবি জানাচ্ছি। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম তাওহীদের কথা মনে রাখতে পারে। এদিকে একই দিন পুুলিশ ও ছাত্ররীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের ভদ্রখোলা এলাকার আমির বেপারী ছেলে রোমান বেপারী (৩০)। পরিবারের বড় ছেলে ছিলো রোমান। রোমানের উপার্জনেই চলতো সংসার। রোমান নিহত হওয়ার পর পরিবারে শুধুই শোক নয় বিরাজ করছে আর্থিক দৈন্যতাও। বছর পাঁচেক আগে বিয়ে করেছিল রোমান। নতুন সংসারে একটি কন্যা সন্তান ছিলো। রোমানের শিশু সন্তান ঘরময় খুঁজে ফিরে রোমানকে। বাবার জন্য কান্না করে। স্ত্রীও জানেনা কেমনে চলবে আগামীদিনগুলো। রোমানের চাচাত ভাই সোহেল বেপারী বলেন রোমানের আয় উপার্জনেই চলতো ওদের সংসার। নিহত হওয়ার পর সংসারে অস্বচ্ছলতা নেমে এসেছে। আমি চাই সরকার যেন এই নিহত পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। অর্থিক সহযোগিতার দাবী জানান তিনি। 

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, নিহতের পরিবারকে সরকরি সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।