মাদারীপুরে কনেষ্টেবল নিয়োগে সাবেক এসপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের আদালতে অভিযোগ
প্রকাশ : 2024-07-12 19:30:35১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মাদারীপুরে পুলিশ নিয়োগে ঘুষ বানিজ্য সাবেক এসপি সুব্রত কুমার হালদারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদক এর আদালতে অভিযোগ। আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) চার্জশিটটি গ্রহণ করেন মাদারীপুর জেলা দায়রা জজ আদালতের সেশন সহকারী।
দুদকের উপ-পরিচালক মো.আকতারুজ্জামান জানান, গত ২০২৩ সালের ৫ জুলাই মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) সুব্রত কুমার হালদারসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল দুদক। মামলার এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে কনস্টেবল নিয়োগে এক কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
মাদারীপুরের সাবেক এসপি সুব্রত কুমার হালদার (বর্তমানে পলাতক), কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্ত ও পলাতক) মো. নুরুজ্জামান সুমন, কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্ত) জাহিদুল ইসলাম, মাদারীপুর জেলা পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট পিয়াস বালা এবং মাদারীপুরের সাবেক টিএসআই (টাউন সাব-ইন্সপেক্টর) গোলাম রহমানকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
২০১৯ সালে মাদারীপুর জেলা থেকে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে লোকবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন মাদারীপুর জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার। যাদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করা হয়েছে তাদের পরীক্ষার খাতায় বিশেষ সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। সেই সব খাতায় অতিরিক্ত নম্বর প্রদান করে এসপি সুব্রত।
এই নিয়োগ চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধ ঘুষ লেনদেনের ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছয়টি ধাপে জব্দ করা হয়। বিষয়টি পুলিশ সদর দফতর প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে সত্যতা থাকায় আদালতের মাধ্যমে সেটা দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠায়। দুদকের অনুসন্ধান এবং তদন্তে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে দুদক এক কোটি ৬৯ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের তথ্য প্রমাণ পায়। দুদকের এই মামলায় পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, একটি বেসরকারী ব্যাংকের ম্যানেজারসহ ৫০ জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে।
দুনীতি দমন কমিশন মাদারীপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আকতারুজ্জামান বলেন, দীর্ঘ তদন্তের পর সাবেক এসপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে।