মাদারীপুরে ইজিবাইকের যন্ত্রপাতি কেনাবেচা নিয়ে দুই গ্রামের সংঘর্ষ, আহত ২০
প্রকাশ : 2021-06-25 20:16:52১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মাদারীপুরের রাজৈর থানার পাইকপাড়া ইউনিয়নের নরের কান্দি ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার আজিম নগর গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শুক্রবার (২৫ জুন) সকালে দুই উপজেলার সিমান্তবর্তী এলাকা নরের কান্দি-আজিম নগর ব্রীজের উপরে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় শিশুসহ উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। সকাল থেকে প্রায় ১১ টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষের সময় বোমা মেরে তাদের আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত দুইদিন আগে ভাঙ্গা থানার আক্কাস ও রাজৈর থানার জাহাঙ্গীরের মধ্যে ইজিবাইকের যন্ত্রপাতি কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়। পরে শুক্রবার সকালে বিষয়টি মিমাংসা করে দিতে যায় পাইকপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাজাহান মোল্লা।
এসময় তাকে লাঞ্ছিত করে আক্কাস ও তার লোকজন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের কয়েক হাজার মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।
এর মধ্যে গুরুতর আহত শাহ-আলম মুন্সীকে(৩৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে প্রেরণ করেছে। এবং ইব্রাহিম সরদার (২৯), ইব্রাহিম ফকির (২৩), শুভ (৭), আজগর আলী ফকির (৩৩) রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া বাকি আহতদের বিভিন্ন স্থান থেকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহত শাহ-আলম বলেন, আজিম নগরের ওরা ইট পাইকেল মারে আমরাও মারি। কিছুক্ষন পর হটাৎ ওরা বোমা মারতে শুরু করে। একটা আমার পাসে এসে পড়ে বাস্ট হয়ে আমার হাত ও মাথায় ছিটে লাগে।
চিকিৎসা নিতে আসা আরেকজন জানান, ভাংঙ্গা থানার লোকজন আমাদের উপর ১০-১২টা বোমা মারে। এতে অনেকেই আহত হয়। এর মধ্যে একটা বোম পানিতে পড়লে পানি প্রায় ২০ হাত উপরে উঠে যায়।
রাজৈর থানার ওসি মো. শেখ সাদিক বলেন, একটা পার্স কেনা বেচাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়। সেই বিষয়টি সাবেক চেয়ারম্যান মিমাংসা করতে গেলে তখন দোকানের বাহিরে একটা গ্যানজাম লাগে। পরে দুই গ্রামের প্রায় এক হাজার লোক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ইট পাটকেল মারে। পরে ভাংঙ্গা থানা ও আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি।
এসময় কিছু সাউন্ড গ্যানেট মারে ভাংঙ্গা থানার পুলিশ। সাউন্ড গ্যানেটে শুধু শব্দ ছাড়া কারো কোনো ক্ষতি করেনা। তবে পরে বিষয়টি দুই পক্ষ আপস মিমাংসা করেছে।