মাদক ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতে পুলিশের এএসআই নিহত, গ্রেফতার এক
প্রকাশ : 2021-09-25 18:49:33১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
গাঁজাসহ আটক মাদক ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পিয়ারুল ইসলাম মারা গেছেন।
শনিবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ইন্টেন্সিভ ট্রিটমেন্ট ইউনিট) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) এর ইনচার্জ ডাঃ জামাল উদ্দিন মিন্টু মাদক ব্যবসায়ীর হামলায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার এএসআই পিয়ারুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত শুক্রবার মধ্যরাতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানাধীন বাহার কাছনা সিগারেট কোম্পানী নামক এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতে আহত হয় এএসআই পিয়ারুল ইসলাম। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হারাগাছ থানা পুলিশের উিডটি অফিসার এএসআই স্মৃতি রায় জানায়, সিগারেট কোম্পানী এলাকায় মাদক (গাঁজা) বিক্রি হচ্ছে।
এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার মধ্যরাতে হারাগাছ থানার এএসআই পিয়ারুল ইসলাম একজন কনস্টেবল সহ মটরসাইকেল যোগে সাহেবগঞ্জ এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে সিগারেট কোম্পানী এলাকায় গাঁজাসহ মাদক কারবারি পলাশকে আটক করে। এ সময় মাদক কারবারি পলাশ তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে এএসআই পিয়ারুলের বুকে আঘাত করে। এতে এএসআই পিয়ারুল ইসলাম গুরুত্বর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে জরুরী ভিত্তিতে রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রো পচারের পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে (ইন্টেন্সিভ ট্রিটমেন্ট ইউনিট) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার সকালে এএসআই পিয়ারুল ইসলাম মারা যান।
থানা সূত্রে জানাগেছে, এএসআই পিয়ারুল ইসলাম ছিলেন বিনয়ী ও খুবই সাহসী দক্ষ পুলিশ অফিসার। সবসময় সাহসের সঙ্গে ডিউটি পালন করতেন। এমন একজন সাহসী পুলিশ অফিসার বন্ধুকে হারিয়ে পুলিশ বাহিনীর সকলেই মর্মাহত।
মুঠোফোনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার এ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এভাবে একজন পুলিশ অফিসারের মৃত্যু বরণ আমাদের কোন ভাবেই কাম্য নয়। ঘটনার পর পরই মাদক ব্যবসায়ী পলাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে হারাগাছ মেট্রো থানার বাহার কাছনা তেলিটারী (সিগারেট কোম্পানি) এলাকার জাহিদুল ইসলামের পুত্র। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
ওসি শওকত আলী সরকার বলেন, পিয়ারুল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন পরিষদের পাড়ামৌলা গ্রামের আব্দুর রহমান মিন্টুর ছেলে। পিয়ারুল ইসলাম ২০১২ সালে পুলিশে যোগদান করেন। হারাগাছ থানায় যোগদানের পুর্বে তিনি আরপিএমপির গোয়ান্দা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রীসহ ২সন্তান রয়েছে।