ভ্রাম্যমান আদালতের বিশেষ অভিযান   

প্রকাশ : 2025-08-10 18:43:38১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ভ্রাম্যমান আদালতের বিশেষ অভিযান   

পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী উপজেলার তেতুঁলিয়া উপজেলার ডাহুক নদীতে এক শ্রেনীর অসাধু চক্র কয়েক মাস ধরে বালুু কাটার নামে ড্রেজিং মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করে আসছে।

বালু কাটার নামে অবৈধ পন্থায় নদীর গভীরের পাথর উত্তোলনে পরিবেশ মারাতœক ভাবে হুমকীর মুখে পড়ে।এ নিয়ে নানা মহলের অভিযোগের এক পর্যায়ে শনিবার(৯আগস্ট) উপজেলা প্রশাসন পুলিশ ও বিজিবির সহায়তা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
 
তেতুঁলিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, অভিযানের পর রাতেই ২০ জন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০-২৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই মুসা মিয়া। ওই অভিযানে মেশিন ব্যবহার করে বালু ও পাথর উত্তোলনে জড়িত অসাধু চক্র নদীতে মেশিন ফেলে পালিয়ে যায়। 

জানা যায়, তেতুঁলিয়ার শালবাহান ইউনিয়নে ডাহুক নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজ শাহীন খসরু। 

এদিকে ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়,শালবাহান ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন এলাকায় ডাহুক নদী কিছু অসাধু চক্রে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ পাথর ও বালি উত্তোলন করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পুলিশের উপস্থিতির খবর পেয়ে ২০টি বালু উত্তোলন করা ড্রেজিংা পাম্প মেশিন রেখে বালু উত্তোলনকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে উদ্ধারকৃত কিছু পাইপ ধ্বংস করা হয়।এসময়একটি বালু ভর্তি ট্রলি জব্দ এবং চালককে আটক করা হয়। পরে তাকে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।অভিযানে পুলিশ সহ পেদিয়াগছ বিজিবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 তেতুঁলিয়া থানার ওসি মুসা মিয়া জানান ট্রলি থানায় আছে এবং আটক চালকের বয়স কম হওয়ার কারনে ইউএনও সাহেবরে জিম্মায় দেই। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সহ অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

তিনি আরো বলেন আমি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতে বলেছি । তিনি মামলা করেছেন এটি নিয়মিত মামলা হিসেবে গন্য হবে। আর যেহেতু চালকের বয়স কম সে কারণে তাকে আসামী করা যায়না ‘তাই তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।