ভোটের আনন্দের মতো মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রকাশ : 2021-08-09 14:31:18১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ভোটের আনন্দের মতো মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে করোনার টিকা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ টিকা নিচ্ছে। যেভাবে নির্বাচনের সময় মানুষ আসে, লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে।’
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে গত শনিবার থেকে গণটিকাদান কার্যক্রম চলছে দেশজুড়ে। ক্যাম্পেইন শুরুর দিন থেকেই টিকা কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন মানুষ। দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার পরও অনেকে টিকা পাচ্ছেন না। প্রতিটি কেন্দ্রে যে পরিমাণ টিকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার চেয়ে আগ্রহীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এই অনেকে টিকা পাচ্ছেন না।
টিকা নিতে মানুষের আগ্রহের কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিনের বিষয়ে আমরা একটা সফল কার্যক্রম শুরু করেছি। সেটা গত পরশুদিন থেকে শুরু হয়েছে। সেদিনই গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ টিকা নিয়েছে। যেভাবে নির্বাচনের সময় মানুষ আসে, লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে। প্রতিটা ইউনিয়নে ৬০০ করে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু আমরা দেখলাম তার চেয়ে বেশি মানুষ হাজির।
এ সময় ১৫ আগস্টের মধ্যে দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী আরও ৫৪ লাখ টিকা আসবে বলে জানান জাহিদ মালেক। বলেন, ১৫ আগস্টের মধ্যে কোভ্যাক্স থেকে ৩৪ লাখ টিকা পৌঁছাবে। চীন থেকে কেনা ১০ লাখ টিকা পৌঁছাবে। আরও ১০ লাখ চীন থেকে উপহার হিসেবে দেয়া হবে। অর্থাৎ আরও ৫৪ লাখ টিকা এ সময়ের মধ্যে দেশে আসবে। এর মধ্য দিয়ে টিকা কার্যক্রমের গতি ধরে রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেগুলো আমরা ক্রয় করেছি, চীন থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, আরও তারা ৫ মিলিয়ন অর্থাৎ ৫০ লাখ ভ্যাকসিন তারা আমাদেরকে দেবে। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকেও আমরা পেতে পারি, যার সংখ্যা এখনও আমাদের জানানো হয়নি।’
চীন থেকে নতুন টিকা কেনার সিদ্ধান্তের কথাও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কোভ্যাক্স থেকে আমরা পাই। কিন্তু সংখ্যায় একসঙ্গে অনেক বেশি পাই না। সে কারণে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে, উনার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে চায়নার সঙ্গে আলোচনা করে, আরও ৬ কোটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে। চায়না থেকেও সেই অনুমোদন তারা দিয়েছে। এখন আমরা চুক্তির পর্যায়ে আছি। অর্থনৈতিক কমিটিতে গিয়ে সেটা পাশ হয়ে যাবে। সেই টিকা আসলে আমাদের জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখবে। টিকা কার্যক্রম জোরদার হবে।’