ভুঁইফোড় সংগঠনের সভাপতি 'দর্জি মনির' রিমান্ডে
প্রকাশ : 2021-08-04 16:25:53১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে গড়ে তোলা ভুঁইফোড় সংগঠন ‘বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা’ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. মনির খান ওরফে দর্জি মনিরের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (নি.) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দর্জি মনিরের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় ঈসমাইল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ছোট দর্জির দোকানের চাকরি করতো মনির। হঠাৎ করে সে নিজেকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আইডির মাধ্যমে বন্ধু হয়। সে একেক সময়ে একেক রাজনৈতিক পদবি, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমডি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ছাড়াও আরও অনেক মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে নিজের ছবি কম্পিউটার সফটওয়্যার মাধ্যমে এডিট করে বসিয়ে নিজেকে বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পদের নাম ব্যবহার করে।
সে এবং তার সহযোগীরা ঢাকা মহানগরীতে এবং বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কমিটি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেয়। সে তার ভুঁইফোড় সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় এবং রাজনৈতিক প্রধানের নাম করে টাকা আদায়, বিভিন্ন চাকরি দেওয়া এবং পদায়নের জন্য অনেক লোকজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে।
গত ৩০ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে কামরাঙ্গীরচর থানার মাদবর বাজার ৫৭ নং ওয়ার্ডে তার সংগঠনের পদ প্রদানের ও বিভিন্ন বড় বড় নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক করে দেওয়ার নাম করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে ছবি এডিট করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে নিজের ছবি বসিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ছবি এবং বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সাধারণ মানুষদের ঠকানোর উদ্দেশ্য তাদের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন করে যে, সে এক বিরাট নেতা। যার ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার উপক্রম হয়।