ভাসানচরে রোহিঙ্গারা কেন বিক্ষোভ করেছে, তদন্ত চান পররাষ্ট্রসচিব
প্রকাশ : 2021-06-02 07:34:35১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার দুই সহকারী হাইকমিশনারের উপস্থিতির সময় গত সোমবার ভাসানচরে রোহিঙ্গারা কেন বিক্ষোভ করেছে, সেটার তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের কাছে জানতে চাইলে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সফরে আসা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) সহকারী হাইকমিশনার গিলিয়ান ট্রিগস ও রাউফ মাজুও গত সোমবার ভাসানচরে যান। এ সময় বিভিন্ন দাবিতে রোহিঙ্গারা বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে সেখানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে বেশ কয়েকজন আহত হন। রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের ওই ঘটনা আন্তর্জাতিক ও দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘সম্প্রতি বিদেশি কূটনীতিক এবং ওআইসির প্রতিনিধি দল ভাসানচরে গেছে। আমিও সেখানে গেছি। গতকাল যা ঘটেছে তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ও অনভিপ্রেত। তবে এটা যে একেবারে অস্বাভাবিক তা বলা যায় না। তারা যখন কক্সবাজারের সঙ্গে যখন তুলনা করেন, কিছু পার্থক্য তো দেখতেই পান। জীবিকার যে বিকল্প ছিল তা ভাসানচরে পুরোপুরি করা যায়নি। অন্যান্য যেসব কার্যক্রম যেমন, টুকটাক ব্যবসা বা জীবিকার উপাদান এখানে নেই। এসব কারণে তাদের মধ্যে কিছুটা অসহিষ্ণুতা আছে বলে মনে হয়।’
পররাষ্ট্রসচিব জানান, জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ভাসানচরে যাচ্ছেন এটা রোহিঙ্গারা আগে থেকেই জানতেন। মাঝি হিসেবে পরিচিত রোহিঙ্গাদের নেতাদের সঙ্গে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের মতবিনিময়ের ব্যবস্থা ছিল। মাঝিদের ওপর হয়তো আস্থা না থাকায় রোহিঙ্গাদের অন্তত চার থেকে পাঁচশ সেখানে জড়ো হলে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘যেটি ঘটে গেছে, সেটি একটু বেশি হয়ে গেছে। বিদেশের কিছু সংবাদমাধ্যম এবং আমাদের কিছু পত্রিকায় যেভাবে এসেছে, ব্যাপারটাকে সেভাবে না দেখাটাই বোধহয় ভালো হবে ।’ তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের প্রশ্ন ছিল দুটি জায়গায়; ভাসানচর নিরাপদ কি না, আর রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে সেখানে স্বেচ্ছায় নেওয়া হয়েছে কি না। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর নিশ্চিত হওয়া গেছে ভাসানচর রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য নিরাপদ। আর রোহিঙ্গারা জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে এসেছেন।