বড়দিনে গির্জায় গির্জায় করোনামুক্তি-শান্তি কামনায় প্রার্থনা
প্রকাশ : 2021-12-25 12:56:36১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে শান্তি ও কল্যাণের বাণী নিয়ে যিশু খ্রিষ্ট্রের জন্মদিন উদযাপন করছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। প্রার্থনা ও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা তাদের বড় ধর্মীয় উৎসব-বড়দিন উদযাপন করছেন।
শনিবার সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের গির্জায় গির্জায় শুরু হয় বড়দিনের উৎসব। সকাল থেকেই রাজধানীর তেজগাঁওয়ের হলি রোজারিও চার্চে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিড় জমিয়েছেন যীশু খ্রিষ্টের অনুসারী নানা বয়সী মানুষ। এসময় নিউ টেস্টামেন্ট থেকে শ্লোক আর গসপেল থেকে সুসমাচার আবৃত্তি করে তারা মানবজাতির প্রতি যীশুর ব্রত, ত্যাগ ও শিক্ষা স্মরণ করেন।
যাজকরা জানান, মহান যীশু মানবের মুক্তির জন্য এসেছিলেন। বড়দিনে তার সেই বাণী উচ্চারিত হচ্ছে প্রতিটি চার্চে। স্মরণ করা হচ্ছে মানুষের জন্য করা তার মহান ত্যাগের বাণী।
যাজকরা আরও বলেন, বড়দিনের যেসব ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে বাইরের লোক সমাগম হয়, সে ধরনের উদযাপন নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া কেউ গির্জায় প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রার্থনা চলাকালেও মাস্ক পড়ে থাকতে হবে।
যীশুখ্রিষ্টের জন্মদিনে হলি রোজারিও চার্চে এসেছেন খ্রিস্ট্রান ধর্মাবলীরা জানান, ‘যিশুখ্রিস্ট্র আমাদের পাপের ক্ষমা করতেই পৃথিবীতে আর্বিভূত হয়েছিলেন। ২৫ ডিসেম্বর তার জন্মদিন। এ দিনটি আমাদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র দিন। তাই এ দিন যিশু খ্রিস্ট্রের প্রশংসা, সংগীত, বাইবেল পাঠ ও প্রার্থনা করে আমার তার অশীর্বাদ পেতে চেষ্টা করব।’
হলি রোজারিও চার্চের মতো রাজধানীর প্রতিটি গির্জায় প্রার্থনা শেষে বাড়িতে বাড়িতে চলছে উৎসব। বড়দিনের কেক কাটা ও ক্রিসমাস ট্রিতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। গির্জাগুলোতে গোশালায় জন্ম নেওয়া যিশুর জন্মদিনের ক্ষণটিকে প্রতীকীভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
শনিবার বড়দিন হলেও আগের রাত থেকেই উৎসবে মেতে উঠেছেন খ্রিস্টান ধর্মাবম্বীরা।
গতরাতে কাকরাইলের সেন্ট মেরিস গির্জায় ‘বড়দিনে’র প্রার্থনা সভা শুরু হয় রাত আটটায়। এতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ নেন ভক্তরা। সেখানে মঙ্গলবাণী পাঠের মাধ্যমে নিজের পরিশুদ্ধি এবং জগতের সব মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করা হয়।
বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর গির্জাগুলো ফুল, নানান রঙের বেলুন, নকশা করা কাগজ, জরি ব্যবহার করে সাজানো হয়েছে। বর্ণিল সাজে সেজেছে মেরি ক্রিসমাস ট্রি।
রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোতেও বড়দিনের বিশেষ আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হোটেলগুলোতে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে নানা রঙ্গীন বাতি দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি।
তারকা হোটেলে শিশুদের জন্য রয়েছে দিনভর রয়েছে বিভিন্ন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা। সান্তাক্লজ ও তার বন্ধুরা হোটেলে আগত শিশুদের চমকপ্রদ উপহার দেওয়ার মাধ্যমে বরণ করে নেবে।
দুই হাজার বছরের বেশি সময় আগে খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশু ২৫ ডিসেম্বর ইসরাইলের বেথলেহেম শহরে জন্ম নেন। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, স্রষ্টার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য যিশুখ্রিস্ট অর্থাৎ ঈসা আ. জন্ম নিয়েছিলেন। আজ সরকারি ছুটির দিন।