ব্রিফকেসবন্দি ২১০টি পত্রিকা বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
প্রকাশ : 2021-09-23 14:44:21১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
যেসব পত্রিকা ডিক্লারেশন নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে না, সেগুলোকে ‘ব্রিফকেসবন্দি’ পত্রিকা বলে অভিহিত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এরকম ২১০টি পত্রিকা বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে গণমাধ্যমেরও বিকাশ ঘটেছে। আর গণমাধ্যমের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও তৈরি হচ্ছে। তারা একটি ব্রিফকেস নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে যায়। বিজ্ঞাপন ম্যানেজ করে, যখন ম্যানেজ হয় তখন সেই পত্রিকা বের করে। এর প্রভাব মূলধারার গণমাধ্যমে পড়ছে। তাই ২১০টি পত্রিকা বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এ সময় নিজেকে একজন গণমাধ্যমকর্মী বলেও দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংবাদপত্র সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। অনেকেই ডিক্লারেশন নিয়ে পত্রিকা বের করেন না। তাদের জন্য মূলধারার গণমাধ্যমগুলো বিপদে পড়ছে। এ কারণে আমরা এসব পত্রিকা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা আমাদের এই উদ্যোগের সাথে রয়েছেন বলে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে এখন ছেঁড়া কাপড় পরা, স্যান্ডেল ছাড়া মানুষ দেখা যায় না। আকাশ থেকে ঢাকা শহরে কুঁড়েঘর দেখা যায় না। জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সবাই আমাদের উন্নয়নের প্রশংসা করে। শুধু মির্জা ফখরুল সাহেবদের এই উন্নয়ন চোখে পড়ে না। তাদের হেডকোয়ার্টার পাকিস্তানও আমাদের থেকে এখন সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে।
সংবাদপত্রের মালিকদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে সব সংবাদপত্র বিপদে পড়েছিল, যার কারণে অনেকেই কর্মী ছাঁটাই করেছেন। আমি তাদের অনুরোধ করবো ছাঁটাইকৃত কর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের বিমার আওতায় আনার অনুরোধ জানাচ্ছি। এতে সাংবাদিকরা উপকৃত হবেন এবং মালিকরা তাদের কর্মীদের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।