ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মেশিনগানসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন
প্রকাশ : 2021-04-09 21:41:48১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে হামলা ঠেকাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল থানা, ফাঁড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বসানো হয়েছে এলএমজি পোস্ট। সেই সাথে ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন সহিংস ও ধ্বংসাত্মক কর্মসূচীর প্রেক্ষাপটে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, থানা, পুলিশ ফাঁড়িসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বালির বস্তা ফেলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারসহ জনবল বৃদ্ধি ও এলএমজি চেকপোষ্ট স্থাপন করাসহ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
থানাগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা, বিজয়নগর থানা, নবীনগর থানা, আশুগঞ্জ থানা, সরাইল থানা, নাসিরনগর থানা, কসবা থানা, আখাউড়া থানা ও বাঞ্চারামপুর থানা।
পুলিশ ক্যাম্পগুলো হচ্ছে আশুগঞ্জ সার কারখানা পুলিশ ক্যাম্প, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানী লিমিটেড (পিডিবি) পুলিশ ক্যাম্প, আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজা পুলিশ ক্যাম্প, নবীনগর উপজেলার শিবপুর পুলিশ ক্যাম্প ও ছলিমগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্প, বিজয়নগর উপজেলার চম্পনগর পুলিশ ক্যাম্প, জেলা পুলিশ লাইন্সে ৪ টি এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ১টি সহ মোট ২৭টি এলএমজি চেকপোষ্ট স্থাপন করা হয়েছে।
পুলিশ ফাঁড়িগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ১ নং শহর পুলিশ ফাঁড়ি, ২ নং শহর পুলিশ ফাঁড়ি, বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ি ও আখাউড়া উপজেলার ধরখার পুলিশ ফাঁড়ি। তদন্ত কেন্দ্রগুলো হচ্ছে নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্র ও বিজয়নগর উপজেলার আউলিয়া বাজার তদন্ত কেন্দ্র।
এসব নিরাপত্তা পোষ্টে আধুনিক ও ভারী অস্ত্রসহ প্রশিক্ষিত পুলিশ সদস্যসের মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্র ও পুলিশ ক্যাম্পে ইতিমধ্যেই জনবল বৃদ্ধিসহ পর্যাপ্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করা হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীরা যেন কোন পুলিশ স্থাপনায় হামলা বা সহিংস ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য উর্ধ্বতন অফিসারগণ নিয়মিত মনিটরিং করছেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, পরবর্তী নির্দেশ দেয়া না পর্যন্ত থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্র ও পুলিশ ক্যাম্পগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে। এইসব পুলিশী স্থাপনাগুলোতে বালির বস্তা ফেলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রশিক্ষিত পুলিশ অফিসার নিয়োগসহ লোকবল বৃদ্ধি করা হয়েছে ও তাদেরকে আধুনিক ও ভারী অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে।